South Korea: সামরিক আইন জারি করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন, শেষে কি না এই পরিণতি ইওলের
South Korea: এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতে ইওলকে বরখাস্তের পক্ষেই বেশি ভোট পড়ে। এদিন বরখাস্তের পক্ষে ভোট পড়েছে ২০৪টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৮৫টি।
সিওল: কয়েকদিন আগেই ক্ষমতা দখল রাখতে আচমকা সামরিক আইন (মার্শাল ল) জারি করেছিলেন। কয়েকঘণ্টার মধ্যে অবশ্য পিছুও হটেছিলেন। প্রত্যাহার করেছিলেন সামরিক আইন। তারপরও গদি বাঁচাতে পারলেন না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। শনিবার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বরখাস্ত (ইমপিচমেন্ট) হলেন তিনি।
এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতে ইওলকে বরখাস্তের পক্ষেই বেশি ভোট পড়ে। এদিন বরখাস্তের পক্ষে ভোট পড়েছে ২০৪টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৮৫টি। দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাসেম্বলিতে সদস্য সংখ্যা ৩০০। এদিন ৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন। আর ৮ জনের ভোট বাতিল হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইওলের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির অনেক সদস্যই তাঁকে বরখাস্তের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
গত ৩ ডিসেম্বর আচমকা দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইওল। বলেছিলেন, “উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তি এবং দেশ বিরোধী শক্তির হাত থেকে উদার দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করতেই মার্শাল ল জারি করা হচ্ছে।” কিন্তু, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্ষোভের মুখে পড়ে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেন ইওল। তাতে অবশ্য কোনও কাজ হল না। শেষ পর্যন্ত সরতেই হচ্ছে ইওলকে।
এই খবরটিও পড়ুন
এদিন অ্যাসেম্বলির বাইরে বহু মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।