Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ISIS Chief Killed: উড়ে এল মিসাইল! আমেরিকার হাতেই খতম ISIS-এর বড় মাথা

ISIS Chief Killed: সূত্রের খবর, বছর বছর ধরেই ইরাকের সরকার ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই আবু খাদিজাহ। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জঙ্গিনেতার প্রাণ নিল তারা।

ISIS Chief Killed: উড়ে এল মিসাইল! আমেরিকার হাতেই খতম ISIS-এর বড় মাথা
প্রতীকী ছবিImage Credit source: PTI | Getty Image
Follow Us:
| Updated on: Mar 15, 2025 | 1:10 PM

ওয়াশিংটন: মার্কিন হামলায় খতম জঙ্গি গোষ্ঠী ISIS-এর প্রধান আবদুল্লাহ মাক্কি মুসলিহ আল-রিফাই ওরফে আবু খাদিজাহ। বৃহস্পতিবার, ইরাকের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে যৌথ অভিযানে জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধানকে খতম করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানা গিয়েছে, বহু দিন ধরেই এই ISIS প্রধানের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল আমেরিকা। সুযোগ পেতে ইরাকের গোয়েন্দাদের সাহায্যে তাঁকে খতম করল তাঁরা।

কে এই আবু খাদিজাহ?

গোটা বিশ্বের কাছে আবু খাদিজাহ আদতেই একটা রহস্যময় ব্যক্তিত্ব। এবার সেই জঙ্গি নেতার প্রাণ নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানা গিয়েছে, গোটা বিশ্বজুড়ে ISIS-এর অভিযানের কাজ সামলাত এই জঙ্গি নেতা। ISIS-এর সকল অভিযানের আর্থিক ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিকস ও পরিকল্পনার ভার ছিল তার কাঁধেই।

কীভাবে জঙ্গি নেতাকে খতম করল আমেরিকা?

জানা গিয়েছে, ইরাক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এই জঙ্গিনেতার হদিশ পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপর ‘পাখির চোখ’ করেই আকাশপথে ছোড়া হয় মিসাইল। সেই বায়ু হামলাতেই প্রাণ যায় ISIS প্রধানের। মৃত্যু হয় আরও এক ISIS জঙ্গির। তবে সঠিক লোকের প্রাণ নেওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তৎক্ষণাৎ ইরাকের সেই এলাকায় পাঠানো হয় ইরাক সেনাবাহিনীকে। উদ্ধার হয় দু’টি মৃতদেহ। তারপর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমেই আবু খাদিজাহের মৃত্যু নিশ্চিত করে মার্কিন সেনা।

ইতিমধ্য়ে সেই হামলার একটি ভিডিয়ো ফুটেজ নিজেদের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড। সেনা তরফে জানা গিয়েছে, মৃত্য়ু সময়ও ‘মানববোমা’র পোশাক পরেছিল তারা। এদিন এই প্রসঙ্গে এক মার্কিন সেনাকর্তা বলেন, ‘ISIS-এর প্রধানদের মতো আবু অন্যতম। যারাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিপদের মুখে ফেলার চেষ্টা করবে, সেই সকল জঙ্গি ও তাদের গোষ্ঠীগুলিকে আমরা খতম করে ছাড়ব।’

জঙ্গিনেতার মৃত্যুতে মুখ খুলেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানিও। তাঁর কথায়, ‘এই বিশ্বের হিংস্র সন্ত্রাসবাদীগুলির মধ্য়ে আবু অন্যতম।’ সূত্রের খবর, বছর বছর ধরেই ইরাকের সরকার ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই আবু খাদিজাহ। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জঙ্গিনেতার প্রাণ নিল তারা।