Donald Trump: ঘাড় ধরে দেশ থেকে খেদিয়ে দেবে ট্রাম্প? গদিতে বসার আগেই থরথরিয়ে কাঁপছে অভিবাসীরা
US Deportation: বাড়ি থেকে লোকজনকে ঘাড় ধরে ট্রাকে তুলবে। সেখান থেকে সোজা ডিপোর্টেশন সেন্টার। ডিপোর্টেশন সেন্টার অর্থাত্ যেখানে ঢুকলে হাতে পিঙ্ক স্লিপ ধরিয়ে আমেরিকা থেকে বিদায়।
ওয়াশিংটন: পুলিশ বাড়ি বাড়ি যাবে। বাড়ি থেকে লোকজনকে ঘাড় ধরে ট্রাকে তুলবে। সেখান থেকে সোজা ডিপোর্টেশন সেন্টার। ডিপোর্টেশন সেন্টার অর্থাত্ যেখানে ঢুকলে হাতে পিঙ্ক স্লিপ ধরিয়ে আমেরিকা থেকে বিদায়। প্রেসিডেন্ট পদে বসতে এখনও মাস দুয়েক দেরি আছে। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বেআইনি অভিবাসী তাড়ানোর প্ল্যান রেডি করে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই কাজে যে ট্রাম্প সেনাকে ব্যবহার করবেন, সেই ইঙ্গিতও ট্রাম্প দিয়ে রেখেছেন।
সোমবার গভীর রাতে সেই বার্তা দেওয়ার পর ট্রাম্প আর উচ্চবাচ্য করেননি। তাই লোক তাড়ানোয় মার্কিন সেনার ভূমিকাটা ঠিক কী হবে, সেটাও স্পষ্ট হয়নি। তবে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই প্ল্যানের আগেও সেনা, পরেও সেনা। অর্থাত্ লোক তাড়ানো শুরুর আগে নিরাপত্তার দায়িত্ব সেনার হাতে তুলে দেবে ট্রাম্প প্রশাসন। গোটা অপারেশনটা সেনার হাতে থাকবে।
একইসঙ্গে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতাও সেনাকে দেওয়া হবে। বেআইনি অভিবাসীদের তাড়াতে আগে পুলিশ যাবে, পরে সেনা। অর্থাত্ পুলিশ যদি অভিবাসী মিশনে গিয়ে ফেল করে, তখন মাঠে নামবে সেনা।
ট্রাম্পের প্ল্যানটা ঠিক কী? নিউইয়র্ক টাইমসের দাবি, প্ল্যানের খুঁটিনাটি তাঁদের হাতে এসেছে। প্ল্যানে গোটা আমেরিকাকে ৪টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। কোথায়, কত বেআইনি অভিবাসী – সেই হিসাবে নয়। কোথায় অভিবাসী তাড়াতে গিয়ে বেশি ঝামেলা হতে পারে, সেই নিরিখেই ৪টি জোন। এখানে দেখা যাচ্ছে, জোন ওয়ান ও জোন টু’কে ডলি জোন ধরছেন টিম ট্রাম্পের সদস্যরা। এই জোনগুলিতে সেনা ঢুকিয়ে অপারেশন হবে। বাকিগুলোতে প্রথমে পুলিশ ও পিছনে সেনা।
ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও তাঁর ঘনিষ্ঠ পুলিশকর্তারা একটি তালিকা তৈরি করেছেন যেখানে ৪ হাজার নাম রয়েছে। এরা নাকি বেআইনি অভিবাসীদের খতরনাক গুন্ডা। এইভাবে আরও আলাদা, আলাদা ক্যাটেগরি তৈরি করে মূল অ্যাকশন প্ল্যান রেডি করা হচ্ছে।