ঢাকা: ইউনূসের কোপ। পালাবদলের পর থেকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে দিতে কার্যত আদা-জল খেয়ে লেগে পড়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। প্রথমে মেডিক্যাল কলেজ। এরপর দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুছে গেল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম।
এদিন নাম পরিবর্তন নিয়ে এমনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের তরফে। জানা যায়, নাম পরিবর্তন করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার পরিবারের নামে নামাঙ্কিত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের।
ইতিমধ্যেই সেই নাম মুছে ফেলার জন্য সমীক্ষা চালিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের মোট ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে এসেছে সেই সমীক্ষায়। এই ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য়ে ১১টি রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শেখ ফজিলাতুন্নেসার নামে। শেখ হাসিনার নামে রয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের নাম বদলে ছিল ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। একই রকম ভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই নাম বদলের কথা ঘোষণা করেছিল সেদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পালাবদলের পর থেকেই নানা ভাবে বঙ্গবন্ধুর অস্তীত্বকে মুছে দিতে অভিসন্ধি তৈরি করেছে ইউনূস সরকার। আর সেই স্মৃতি ভুলিয়ে দেওয়ার খেলায় মেতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও আঘাত আনতে ছাড়েনি তারা। আগামী প্রজন্মের কাছ থেকে কার্যত মুজিবকে ছিনিয়ে নিতে, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলানোর কাজ শুরু করেছেন ইউনূস, এমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের
ইতিমধ্যেই পাঠ্যক্রমে যোগ করেছেন আরবি ভাষা। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আরবি ভাষা শিখতেই হবে পড়ুয়াদের। পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাম। জানা যায়, ভাষা আন্দোলন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘বায়ান্নোর দিনগুলো’ গল্পটিকেও বাদ দেওয়া হয়েছে পাঠ্যপুস্তক থেকে। এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি ভবন-সহ একাধিক দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুজিবুর রহমানের ছবি।