
বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত হ্যাল বা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিচ লিমিটেডের কারখানা থেকে হঠাৎই এল এক খারাপ খবর। দেশের প্রথম স্বদেশী বিমান তেজস মার্ক ১এ হয়তো ২০২৬ সালেও শুরু করতে পারবে না হ্যাল। ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এই বিমান উৎপাদনে বিলম্ব ও প্রযুক্তিগত জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
৪৫ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকার এই চুক্তির আওতায় হ্যালের মোট ৮৩টি যুদ্ধবিমান ডেলিভারি করার কথা ছিল। এর মধ্যে ১০টি ট্রেনিং এয়ারক্র্যাফট ও বাকি ৭৩টি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বিমান। আগামী বছরেই এই ডেলিভারি শুরু হওয়ার কথা ছিল। এবার প্রশ্ন এটাই উঠছে যে এই ডেডলাইন মিস হওয়ায় কী হবে বায়ুসেনার স্কোয়্যাড্রনের। কারণ, মিগ ২১ বাইসন অবসরে চলে যাওয়ার পর ভারতীয় বায়ুসেনায় স্কোয়াড্রন সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে।
তবে, এত কিছুর পরও আসল চিন্তা অন্য ক্ষেত্রে। কোনও যুদ্ধবিমান শুধু উড়তে পারলেই হয় না। তার যুদ্ধ করার ক্ষমতাও থাকতে হয়। আর এখানেই চিন্তায় যায়ুসেনা।
এই দেশীয় ফাইটার জেটের একটা প্রধান আকর্ষণ ছিল ডিআরডিওর তৈরি দেশীয় ‘উত্তম’ AESA রাডার। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, সেই রাডার তেজসে নাকি ইন্টিগ্রেট করা যায়নি। ফলে দেশীয় তেজসে দেশি যন্ত্রপাতির সংখ্যা কমে গিয়েছে। একপ্রকার বাধ্য হয়ে দেশীয় রাডারের বদলে বসেছে ইজরায়েলের Elta EL/M-2052 রাডার। এটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর স্বপ্নে বিরাট এক ধাক্কা।
এর আগেও সময় মতো যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি দিতে পারেনি হ্যাল। এখনও পর্যন্ত হ্যাল ৩৮টি তেজস ডেলিভারি করেছে। তবে, প্রতিবারই ডেডলাইন ফেল করেছে এই সংস্থাটি। এর আঁচ দেখা গিয়েছে সংস্থার শেয়ারের দামেও। হ্যালের শেয়ারের দাম কমছে। এই ঘটনার পর সামগ্রিক ভাবে, দেশের নিরাপত্তা ও দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের ভবিষ্যৎ এখন বড় প্রশ্নের মুখে।