চাকরি পাওয়ার পরই সকলের উচিত সঞ্চয়েক দিকটিও মাথাতে রাখা। বৃদ্ধ বয়সের জন্য আগে থাকতেই পরিকল্পনা শুরু করতে হয়। কারণ অবসর জীবনে সেই সঞ্চয়ই একমাত্র ভরসা হয়ে থাকে। আর অবসর জীবনে সুখে ও নিশ্চিন্তে কাটানোর চাবিকাঠি রয়েছেন নিজের হাতেই। ভবিষ্যতের জন্য পিপিএফ বা ট্যাক্স ফ্রি বন্ডে বিনিয়োগ যে কারও জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
অবসরকালের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু স্কিম অফার করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ভলান্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ড। এই তিনটিতে কর ছাড় পাওয়া যায়। আপনার টাকাও একেবারে নিরাপদ এই সরকারি স্কিমগুলিতে। এই তিনটি স্কিমের মধ্যে যেকোনও একটিতে বিনিয়োগ করে আপনার বৃদ্ধ বয়সের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য তহবিল সংগ্রহ করতে পারেন যে কেউ।
বিনিয়োগকারীরা ভিপিএফ, পিপিএফ এবং ইপিএফ এই তিনটিতে অনেক সুবিধা পান। এই তিনটি স্কিমেই প্রায় একইরকম সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এই তিনটির মধ্যে কোনটিতে বিনিয়োগ করতে হবে তা বুঝে পান না অনেকেই। যেখানে একদিকে যে কেউ পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করতে পারে, সেখানে প্রত্যেক কর্মরত ব্যক্তির জন্য ইপিএফ-এ অবদান রাখা আবশ্যক। এদিকে পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা তাঁদের ইচ্ছানুযায়ী অবসর গ্রহণ করে ভিপিএফ-এ বিনিয়োগ করতে পারেন। ভিপিএফ-এ কোনও ব্যক্তি ইপিএফ-র মতোই সুদ পাবেন। অন্যদিকে, পিপিএফ-এ বিনিয়োগকারীরা ৭.১ শতাংশ সুদ পান। VPF-র জন্য কোনও বিনিয়োগকারীকে আলাদা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে না। এদিকে ভবিষ্যতের জন্য করমুক্ত বন্ডেও বিনিয়োগ করতে পারেন অনেকেই।
কোথায় বিনিয়োগ করা ভাল হবে?
যাঁদের আয় করের আওতায় পড়ে তাঁদের করমুক্ত বন্ডে বিনিয়োগ করা লাভজনক বিনিয়োগ হবে। এদিকে বেতনভোগী কর্মীরা ইপিএফ ও পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করে। এর মাধ্যমে বয়সকালে তাঁরা নিজেদের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিতে পারেন। পিপিএফ এ টাকা কমপক্ষে ১৫ বছর পর্যন্ত রাখতে হয়। আরও ১০ বছর পিপিএফ-এ টাকা রাখলে কোটিপতিও হতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। তা দিয়ে অনায়াসেই কেটে যাবে অবসরকাল।