নয়া দিল্লি: এপ্রিল মাসেই চাঁদি ফাটা রোদ্দুর। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে। দেশজুড়ে একাধিক রাজ্যে জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, তা নিয়েও বিশেষ বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গরম পড়লেই স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ ও কুলারের। বিক্রি বাড়ে আইসক্রিমেরও। তবে শুধু এসি বা আইসক্রিমই নয়, গরম পড়তেই এই সংস্থাগুলিরও শেয়ারও চড়চড়িয়ে বাড়বে। আপনারও যদি এই সমস্ত সংস্থায় বিনিয়োগ থাকে, তবে পেতে পারেন দারুণ রিটার্ন।
তাপপ্রবাহের কারণে এসি, কুলার, ফ্যান ও রেফ্রিজারেটরের চাহিদা দ্রুত বাড়ে। আর পণ্যের বিক্রি বাড়লে, কোম্পানির শেয়ার দরও বাড়বে। এপ্রিল মাস থেকেই ভোল্টাস লিমিটেড, হ্যাভেলস ইন্ডিয়া, সিম্ফনির শেয়ারে প্রভাব দেখা যায়। এই কোম্পানিগুলির রাজস্ব বেশ ভালই ছিল। আবহাওয়া দফতরের তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস এই কোম্পানিগুলিকে ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করছে। যদি বিইই (BEE) নিয়মে কোন পরিবর্তন না হয় এবং মূল্য স্থিতিশীল থাকে, তাহলে এই সংস্থাগুলির শেয়ার বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমানে অধিকাংশ গ্রাহকই টেকসই পণ্য কিনতে পছন্দ করেন। সেই কারণে অনেকেই ছোট কোম্পানির পরিবর্তে বড় ও নামকরা কোম্পানির পণ্য কিনতে পছন্দ করেন। ফলে বড় বড় সংস্থার শেয়ার দর বৃদ্ধি পাবে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এসি, ফ্রিজ, কুলার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির মধ্যে হ্যাভেলস ইন্ডিয়ার স্টক সেরা পারফর্ম করতে পারে।
তাপপ্রবাহে নিজের শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকেই পছন্দ করেন আইসক্রিম। গ্রীষ্মকালে ব্যাপক বিক্রি বাড়ে আইসক্রিমের। ফলে আইসক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির শেয়ার দরও বৃদ্ধি পাবে। চাহিদা বাড়ে বিয়ারেরও। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। ভাদিলাল আইসক্রিম থেকে শুরু করে অরুণ বেভারেজ, ইউনাইটেড ব্রিউয়ারিজের মতো সংস্থার শেয়ার বাড়তে পারে।