SIR: শুনানির মাঝেই বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগানকে ঘিরে বিক্ষোভ

SIR In WB: সোমবার সকালে হিয়ারিং সেন্টারে নথিপত্র খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। মাইক্রো অবজারভারদের সঙ্গে তাঁর কথা বলার ছিল। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলেন তিনি। সে সময়েই শতাধিকের মতো মানুষ ওই স্কুলের কাছে পৌঁছে যান।

SIR: শুনানির মাঝেই বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগানকে ঘিরে বিক্ষোভ
পর্যবেক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 29, 2025 | 3:24 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  মগরাহাটে একটি শুনানি কেন্দ্রে গিয়ে নথি খতিয়ে দেখছিলেন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগান। সেখানে গিয়ে ভোটারদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। এসআইআর-এর শুনানির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কেন শুনানি কেন্দ্রে থাকতে পারবেন না বিএলএ- ২ রা, সেটা নিয়েও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের বাড়ি গিয়ে কেন হিয়ারিং করা হচ্ছে না, সেটাও প্রশ্ন করা হয়।

সোমবার সকালে হিয়ারিং সেন্টারে নথিপত্র খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। মাইক্রো অবজারভারদের সঙ্গে তাঁর কথা বলার ছিল। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলেন তিনি। সে সময়েই শতাধিকের মতো মানুষ ওই স্কুলের কাছে পৌঁছে যান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উস্থি থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

বিষয়টি দেখতে স্কুলে থেকে বেরিয়ে আসেন সি মুরুগান। তখনই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কেন বিএলএ ২ দের হিয়ারিং সেন্টারের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বিক্ষোভের মাঝেও পর্যবেক্ষক মাইক্রো অবজারভারদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। পর্যবেক্ষক, জানতে চান, সমস্ত নথি ঠিক মতো খতিয়ে দেখা হচ্ছে কিনা, কোথাও কোনও সমস্যা হলে কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শও দেন তিনি।

সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের অধ্য়ক্ষ তথা তৃণমূল নেতা মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা আবার ঘিরে ধরে একই দাবি জানাতে থাকেন। প্রসঙ্গত,  রবিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিএলএ-দের সঙ্গে ভার্চুয়ারি বৈঠকে, তাঁদের হিয়ারিংয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিএলএ-দের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এখন যুদ্ধের সময়, এক ইঞ্চি ছবিও ছাড়বেন না। হিংয়ারিংয়েও থাকবেন।” কিন্তু কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, শুনানিতে থাকার কথা নয় বিএলএ-দের। মাইক্রো অবজারভারদের থাকার কথা। কিন্তু শুনানিতেও গড়মিল হতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই অভিষেকের এই পরামর্শ। আর ঠিক তার পরই কোমর বেঁধে নেমে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। ডানকুনিতেই বিধায়ক অসিত মজুমদার একই দাবিতে হিয়ারিং বন্ধ করে দেন। যদিও এই ঘটনার পর থেকে কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, হিয়ারিং সেন্টারে বিএলএ ২ রা থাকতে পারবেন না।