ঝাড়গ্রাম: জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে (Jnaneswari Express train derailment) মদত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। ভোটের মুখে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate)। ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথী। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন যে, ওই সময় ছত্রধর মাহাতো (Chhatradhar Mahato) ব্লক সভাপতি ছিলেন। তাই এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদত ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে অস্ত্রে শান দিচ্ছে। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে বিজেপি প্রার্থীর দাবি, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সময় ছত্রধর মাহাতো তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, এমন দাবি তাঁরা করছেন না, খোদ মুখ্যমন্ত্রীই করেছেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ তুলে বলেন, সেই সময় যদি জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ড হয়, নেতাই-কাণ্ড হয়, লালগড়-কাণ্ড হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে ওই সব ঘটনায় মমতার দায় ছিল।
ঝাড়গ্রামের প্রার্থী হিসেবে ছত্রধর মাহাতো কেমন নেতা, তা বলতে গিয়েই এমন অভিযোগ করেন তিনি। সুখময় শতপথী আরও বলেন, সেই সময় অন্য কেউ ব্লক সভাপতি ছিলেন বলেই জানতেন ছত্রধর মাহাতো। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজে বলেছেন যে ছত্রধর ব্লক সভাপতি ছিলেন। আর তা থেকেই এই দায় নেওয়ার প্রশ্ন তুলছেন এই প্রার্থী।
সুখময় শতপথী দাবি করেন, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ছত্রধর মাহাতো বলেছিলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলে আছি। ওই সময় ব্লক সভাপতি ছিলাম। আর ছত্রধরের সেই দাবি, অস্বীকার করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশ্চুপ থাকার অর্থ হল সম্মতি। তাই জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে মমতাকেই দায়ি করছেন এই প্রার্থী। মাস কয়েক আগে এই একই অভিযোগ করেছিলেন আর এক বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। তখনও অবশ্য প্রার্থী হননি তিনি। তবে এক দলীয় সভায় এসে ভারতী বলেছিলেন জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে হাত ছিল ছত্রধরের। ১০ বছর পর ২০২০-তে জেল থেকে মুক্তি পান ছত্রধর মাহাতো।
২০১০-এর ২৮ মে পশ্চিম মেদিনীপুরে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিতে একটি চলন্ত মালগাড়ির ধাক্কা লাগায় মোট ১৪১ জন যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। অন্তর্ঘাত না বোমা বিস্ফোরণ, তা নিয়ে তদন্ত হয়।