ছোটবেলায় বারবারই ক্লাসে ফেল করতেন ঐশ্বর্যর স্বামী অভিষেক, জানতেন?
Abhishek Bachchan: অভিষেক বচ্চনের মতো এক তারকা সন্তানের একটা সময় লেখাপড়া করতে অসুবিধা হত। সেই কোন ছোটবেলার কথা। সকলেই ভেবে নিয়েছিলেন অভিষেক স্বাভাবিকভাবে কোনওদিনও লেখাপড়া করতেই পারবেন না। তারপরই ঘটে চমৎকার!
আমির খান অভিনীত ‘তারে জ়মিন পর’ ছবিতে ঈশান আবস্তিকে মনে পড়ে? আর পাঁচজন বাচ্চার মতো সে ঠিক মতো লিখতে-পড়তে পারত না। বারবারই ফেল করত বিভিন্ন সাবজেক্টে। ক্লাসে উঠতে পারত না। অসহায় বাচ্চাটাকে নিয়ে তিতিবিরক্ত ছিল তার বাবা। মাকে কাছে পেলেও, সেই মা ঈশানকে বুঝে উঠতে পারত না। এর কারণ, ঈশানের সমস্যাকে তারা কেউ বুঝত না। সকলেই ভাবত ঈশান দুষ্টুমি করছে। ঈশান যে ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত, তা নিয়ে সচেতন ছিল না ঈশানের বাবা-মা।
সিনেমায় ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত ঈশানকে নিয়ে নাভিশ্বাস উঠত পরিবারের সকলের। সেই সময় তার জীবনে আবির্ভূত হয় বোর্ডিং স্কুলের নতুন টিচার রাম শঙ্কর নিকুম্ভ। যে চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। সেই রাম শঙ্কর নিকুম্ভ স্যার ক্লাসে এসে বলেন, সুপার স্টার, তথা জুনিয়র বচ্চন অভিষেকও ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন ছোটবেলায়। অমিতাভ বচ্চনের ছেলেরও লেখাপড়া করতে অসুবিধা হত খুবই। তাঁর হাতের লেখা কোনও শিক্ষকই বুঝে উঠতে পারতেন না। ক্লাসে ফেল পর্যন্ত করতেন অভিষেক।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে, অভিষেকের বেড়ে ওঠার সঙ্গে-সঙ্গে সেই সমস্যাও দূর হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে অভিষেক ঠিকমতোই লিখতে-পড়তে পারতেন। এর জন্য অমিতাভ-জয়াকে দক্ষ শিক্ষকদের রাখতে হয়েছিল অভিষেকের জন্য। তাঁরা বাড়িতে এসে পড়িয়ে যেতেন ছেলেকে।
ডিসলেক্সিয়া এক বিশেষ সমস্যা। কিন্তু যাঁদের হয়েছে, তাঁরা অধিকাংশই জীবনে খুবই উন্নতি করেছেন। যেমন– পৃথিবী বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজ়, পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ, হলিউড অভিনেত্রী সালমা হায়েক… নাম আছে আরও।