শুধু ওই একটি দিন নয়, বিগত চার বছর ধরে নাকি মাদক নিচ্ছে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান, এমনই চাঞ্চল্যকর খবর জানা যাচ্ছে এনসিবি ঘনিষ্ঠ সূত্রে। এখানেই শেষ নয়, সূত্র বলছে, বিদেশে থাকাকালীন নাকি নিয়মিত মাদক নিতেন আরিয়ান।
রবিবার মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এনসিবি ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, জেরার গোটা সময় জুড়ে নাকি কেঁদে গিয়েছেন আরিয়ান। সেখানেই আরিয়ান নাকি নিজেই জানান, তাঁর মাদকে আসক্ত থাকার কথা। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দুবাইয়ে থাকাকালীন মাদক নেওয়ার কথাও নাকি তিনি স্বীকার করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত অফিসিয়াল কোনও মন্তব্য করা হয়নি এনসিবি তরফে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন খান পরিবারও।
কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামক এক প্রমোদতরণীতে তিনদিন এক মিউজিক্যাল যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের সদস্যরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। ক্রে’আর্ক নামক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ফ্যাশনটিভি ইন্ডিয়া। হাজির ছিলেন আরিয়ানসহ ইন্ডাস্ট্রি ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু ব্যক্তি। শনিবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওই প্রমোদতরণীতে তল্লাশি অভিযান চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেখানেই তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে এনসিবি। পরে বিকেলে বয়ান রেকর্ডের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে একা আরিয়ান খানই নন, গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানরাও। এরমধ্যে দিল্লির এক বিখ্যাত ব্যবসায়ীর কন্যারাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আরবাজ মারচেন্ট, মুনমুন ধামেচা, নুপুর সারিকা, ইসমাত সিং, মোহাক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত ছোকর ও গোমিত চোপড়া নামক আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সকলেরই ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, আরিয়ানের চশমার বাক্স থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই প্রমোদতরণীতে ধরা পড়ার সময় আরিয়ানের কাছে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ পিলস ছিল।
যদিও আরিয়ানের তরফে তাঁর কৌঁসুলি সতীশ মানশিন্ডের দাবি, ওই প্রমোদতরীর কোনও টিকিট তাঁর কাছে ছিল না। শুধুমাত্র তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই তিনি গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরিয়ানের জামিনের আবেদনও করেছেন তিনি।