করোনার হানায় প্রয়াত প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়ার দাদা বীর চোপড়া। বিধুর ছবি ‘মুন্নাভাই এম বি বি এস’, ‘ব্রোকেন হর্সেস’, ‘লাগে রহো মুন্নাভাই’, ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছিলেন বীর। দাদার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিধু সহ তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরাও।
সূত্রের খবর, গত ৫ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বীর চোপড়া। মালদ্বীপে থাকাকালীন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুদিনের মধ্যেই তাঁকে মুম্বই ফিরিয়ে আনা হয়। ভর্তি করা হয় এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে। সেখানে ২১ দিন ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয় তাঁকে। কিন্তু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে পারলেন না বীর। শেষ রক্ষা হল না।
বিধুর ছবিতে অভিনয় করতেন বীর। তাঁকে দর্শক দেখেছেন চিকিৎসকের ভূমিকায়। যে কোনও চিত্রনাট্য তৈরি হওয়ার পর দাদাকে শোনানোর অভ্যেস ছিল বিধুর। শোনা যায় ‘পরিন্দা’র চিত্রনাট্যের প্রথম অংশ বীরের পছন্দ হলেও দ্বিতীয় অংশ নাকি তাঁর ভাল লাগেনি। ১৯৮৯-এ মুক্তিপ্রাপ্ত অনিল কাপুর অভিনীত সে ছবির পরিচালক ছিলেন বিধু। দাদার পরামর্শ মেনে তিনি চিত্রনাট্যের দ্বিতীয় অংশ ফের লেখেন।
ব্যক্তি জীবনে বীর ছিলেন সাউন্ড ডিজাইনার নমিতা নায়ক চোপড়ার স্বামী। তাঁদের এক সন্তান অভয় চোপড়া। যিনি ভিকি চোপড়া নামেও ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত। বীরের প্রয়াণের পর বিধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন বলিউডের বহু তারকা।
আরও পড়ুন, নতুন ছবি ওটিটিতে রিলিজ করানোয় সিনেমা হল মালিকদের হুমকির মুখে প্রযোজকরা