রিয়ালিটি শো-এ আর সঞ্চালনার কাজ করতে চান না। এ কথা আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন আদিত্য নারায়ণ। তাঁর এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যের কারণ নিয়ে জল্পনা হয়েছে বিভিন্ন মহলে। স্ত্রী শ্বেতা আগরওয়াল এবং তাঁর প্রথম সন্তান আগমনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। এ হেন আদিত্য এ বার জানালেন পেশাগত ভাবে কোন পরিচয়ে তিনি নিজে পরিচিত হতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
আদিত্য জানিয়েছেন, ১৮ বছর বয়সে ‘সা রে গা মা পা’ রিয়ালিটি শো-এ প্রথম সঞ্চালনা করার সুযোগ পান। সে সময় পর্ব পিছু ৭৫০০ টাকা পারিশ্রমিক পেতেন তিনি। উদিত নারায়ণের ছেলে আদিত্যর রক্তে গান। ফলে নিজেকে একজন সফল টেলিভিশন সঞ্চালকের তুলনায় স্ট্রাগলিং সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে দেখতে বেশি পছন্দ করেন। এখন দর্শক তাঁকে সঞ্চালক হিসেবেই চেনেন। তিনি যে গানও গাইতে জানেন, তা যেন সকলে ভুলে গিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তাঁর ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। ফলে বিভিন্ন মিউজিক কোম্পানির দেওয়া চুক্তিপত্রের তাঁর প্রয়োজন নেই।
আদিত্যর কথায়, “আমার হাতে চারটে প্রজেক্ট রয়েছে। তাই আমি যে আর রিয়ালিটি শো-এ সঞ্চালনা করব না, সেটা এখনই নির্মাতাদের জানানোর প্রয়োজন ছিল। রিয়ালিটি শোয়ের অফার ফিরিয়ে দিয়ে আমারও খারাপ লাগছে। কারণ এতে অনেকটা টাকা পাওয়া যায়। ১৮ বছর বয়সে প্রতিটি পর্ব থেকে যখন ৭৫০০ পেতাম, সেটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা ছিল। এখন কোটি টাকা অফার করেন নির্মাতারা। সে কারণেই ছেড়ে দিতে আরও খারাপ লাগছে। টেলিভিশন আমাকে সব কিছু দিলেও আমার প্রথম ভালবাসা মিউজিক। সেটা ছাড়া বাঁচতে পারব না।”
আদিত্য স্পষ্ট করেছেন, কোনও মিউজিক কোম্পানির ছাতার তলায় না থেকে স্বাধীন ভাবে তিনি মিউজিক প্রোডিউস করবেন। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে আদিত্য বলেন, “ভারতীয় টেলিভিশনে সঞ্চালক হিসেবে আমার শেষ বছর ২০২২। তারপর আর সঞ্চালনার কাজ করব না। আরও বড় কিছু পরিকল্পনা করেছি। প্রাথমিক অঙ্গীকারগুলো সম্পূর্ণ করতেই হবে। একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে ভাল লাগে। কিন্তু পরিশ্রমও অনেক বেশি হয়। গত ১৫ বছরে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। কিন্তু এ বার এগিয়ে যাওয়ার সময়।”
সা রে গা মা পা চ্যালেঞ্জ ২০০৭ দিয়ে টেলিভিশনে সঞ্চালনার কেরিয়ার শুরু করেন আদিত্য। ইন্ডিয়ান আইডল-এর পর পর দুটো সিজন তিনি সঞ্চালনা করলেন। ১০ বছরের বন্ধুত্ব এবং প্রেমের পর গত ডিসেম্বরে শ্বেতা আগরওয়ালকে বিয়ে করেন আদিত্য। দাম্পত্য নিয়েও খুশি এই জুটি।
আরও পড়ুন, রাজের প্রয়াণের পর বাড়িতে প্রথম খুশির উৎসব, কী করলেন মন্দিরা?