বিশ্ব দুলছে ‘কালা চশমা’র তালে। ডেমি লোভ্যাটো থেকে শুরু করে আফ্রিক্যান নাচের দল– বাদ নেই কেউই। কাঁচা বাদামের পর এই গানও হয়েছে ভাইরাল। বিয়ে বাড়ি থেকে জন্মদিন… ক্যাটরিনা ও সিদ্ধার্থের উপর আধারিত এই গানই এখন টক অব দ্য টাউন। অথচ যিনি না থাকলে হতই না এই গান, পেতেনই না বাদশা এত খ্যাতি তিনি আজ বিস্মৃতির পথে!
নাম অমৃক সিং শেরা। বাড়ি পঞ্জাব। এই মুহূর্তে পঞ্জাব পুলিশের প্রধান কনস্টেবল পদে আসীন তিনি। তাঁকে কেউ চেনে না। কেউ জানেও না তাঁর কথা। অথচ ৯০’র দশকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে এই গানের লিরিক্স লিখেছিল কিশোর অমৃক। নবম শ্রেণীতে পড়তেন তখন। বহু জনের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করেছেন তাঁর এই কথায় যেন সুর দেওয়া হয়। কেউ কথা রাখেনি, যেমনটা রাখে না অনেক ক্ষেত্রেই। তবু কেউ কেউ তো রাখে। রেখেছিলেন অমর আরশি। গেয়েছিলেন তাঁর এই গান। তবে দেশে নয়। ইংল্যান্ডের এক অনুষ্ঠানে। ব্যস সেখানে সবারই সেই গান মনে ধরেছিল। অমৃকের কথায়, “এর পরেই চন্ডীগড়ে এক সংস্থা পঞ্জাবেও এই গান মুক্তি করে।” শোনা যায়, যখন চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন অমৃক পেয়েছিলেন মাত্র ১১ হাজার টাকা। পরবর্তীতে তাঁর গান যে কোনও বলিউড ছবির অংশ হতে পারে এ ধারণাই তাঁর ছিল না সে সময়।
এরপর পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বছর। সাল ২০১৬। ‘বার বার দেখো’ ছবিতে ব্যবহৃত হয় সেই গান। সুপারহিট হয়। ছবি ফ্লপ হলেও মারকাটারি ভিউজ হয় ওই ১৫ বছরের এক কিশোরের লেখা গানের। কিন্তু কোথায় অমৃক? কোথায়ই বা তাঁর প্রাপ্য সম্মান। গলায় হাহুতাশ ঝরে পড়ছে মাঝবয়সী মানুষটার। তাঁর কথায়, “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে কেউ একজনও মিউজিক লঞ্চের সময় আমার ডাকল না। ছবির স্ক্রিনিংয়েও কেউ ডাকেনি।” আগেকার দিনে কবিরা প্রতি কবিতায় কোনও এক পংক্তিতে নিজেদের নাম উল্লেখ করে দিতেন, খানিকটা আধুনিক কপিরাইটের মতো। যেমন … ‘বঞ্চিত গোবিন্দদাস’। সেই পন্থা এ যুগের বেশ কিছু পরিচালকও ‘গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্সের’ নামে করে থাকেন। অমৃকও করেছিলেন। না নিজের নাম নয়, তাঁর পঞ্জাবের অখ্যাত গ্রাম, যে গ্রামে কেটেছে তাঁর শৈশব, লিরিক্সে জুড়ে দিয়েছিলেন সেই গ্রামের নাম। তিনি যোগ করেন, “খেয়াল করে দেবেন শেষে আমার গ্রাম তালবন্দি চৌধুরিয়ার কথা আমি উল্লেখ করেছি।” যে গানের কথায় আজ গোটা বিশ্ব দুলছে, সেই মানুষটার হাহাকারই কি কোথাও গিয়ে ছাপিয়ে যাচ্ছে যাবতীয় উদযাপন? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়।
বিশ্ব দুলছে ‘কালা চশমা’র তালে। ডেমি লোভ্যাটো থেকে শুরু করে আফ্রিক্যান নাচের দল– বাদ নেই কেউই। কাঁচা বাদামের পর এই গানও হয়েছে ভাইরাল। বিয়ে বাড়ি থেকে জন্মদিন… ক্যাটরিনা ও সিদ্ধার্থের উপর আধারিত এই গানই এখন টক অব দ্য টাউন। অথচ যিনি না থাকলে হতই না এই গান, পেতেনই না বাদশা এত খ্যাতি তিনি আজ বিস্মৃতির পথে!
নাম অমৃক সিং শেরা। বাড়ি পঞ্জাব। এই মুহূর্তে পঞ্জাব পুলিশের প্রধান কনস্টেবল পদে আসীন তিনি। তাঁকে কেউ চেনে না। কেউ জানেও না তাঁর কথা। অথচ ৯০’র দশকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে এই গানের লিরিক্স লিখেছিল কিশোর অমৃক। নবম শ্রেণীতে পড়তেন তখন। বহু জনের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করেছেন তাঁর এই কথায় যেন সুর দেওয়া হয়। কেউ কথা রাখেনি, যেমনটা রাখে না অনেক ক্ষেত্রেই। তবু কেউ কেউ তো রাখে। রেখেছিলেন অমর আরশি। গেয়েছিলেন তাঁর এই গান। তবে দেশে নয়। ইংল্যান্ডের এক অনুষ্ঠানে। ব্যস সেখানে সবারই সেই গান মনে ধরেছিল। অমৃকের কথায়, “এর পরেই চন্ডীগড়ে এক সংস্থা পঞ্জাবেও এই গান মুক্তি করে।” শোনা যায়, যখন চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন অমৃক পেয়েছিলেন মাত্র ১১ হাজার টাকা। পরবর্তীতে তাঁর গান যে কোনও বলিউড ছবির অংশ হতে পারে এ ধারণাই তাঁর ছিল না সে সময়।
এরপর পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বছর। সাল ২০১৬। ‘বার বার দেখো’ ছবিতে ব্যবহৃত হয় সেই গান। সুপারহিট হয়। ছবি ফ্লপ হলেও মারকাটারি ভিউজ হয় ওই ১৫ বছরের এক কিশোরের লেখা গানের। কিন্তু কোথায় অমৃক? কোথায়ই বা তাঁর প্রাপ্য সম্মান। গলায় হাহুতাশ ঝরে পড়ছে মাঝবয়সী মানুষটার। তাঁর কথায়, “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে কেউ একজনও মিউজিক লঞ্চের সময় আমার ডাকল না। ছবির স্ক্রিনিংয়েও কেউ ডাকেনি।” আগেকার দিনে কবিরা প্রতি কবিতায় কোনও এক পংক্তিতে নিজেদের নাম উল্লেখ করে দিতেন, খানিকটা আধুনিক কপিরাইটের মতো। যেমন … ‘বঞ্চিত গোবিন্দদাস’। সেই পন্থা এ যুগের বেশ কিছু পরিচালকও ‘গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্সের’ নামে করে থাকেন। অমৃকও করেছিলেন। না নিজের নাম নয়, তাঁর পঞ্জাবের অখ্যাত গ্রাম, যে গ্রামে কেটেছে তাঁর শৈশব, লিরিক্সে জুড়ে দিয়েছিলেন সেই গ্রামের নাম। তিনি যোগ করেন, “খেয়াল করে দেবেন শেষে আমার গ্রাম তালবন্দি চৌধুরিয়ার কথা আমি উল্লেখ করেছি।” যে গানের কথায় আজ গোটা বিশ্ব দুলছে, সেই মানুষটার হাহাকারই কি কোথাও গিয়ে ছাপিয়ে যাচ্ছে যাবতীয় উদযাপন? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়।