Rath Jatra 2022: অতিমারির শূন্যতা কাটিয়ে ভিড় বাড়বে যাত্রাপাড়ায়, রথযাত্রায় আশায় বুক বাঁধছে চিৎপুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sneha Sengupta

Jun 30, 2022 | 9:26 PM

Chitpur Jatra: করোনার কারণে থমকে ছিল যাত্রা। দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে, কাল (০১.০৭.২০২২) রথের দিন আবার সেজে উঠতে চলেছে চিৎপুর।

Follow Us

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে অবশেষে দু’বছর পর ফের সেজে উঠতে চলেছে বাংলার যাত্রাপাড়া চিৎপুর। রথের শুভ দিনে শিল্পী, প্রযোজক ও ইউনিয়নদের সংগঠন এক সঙ্গে মিলে, যাত্রা অ্যাকাডেমির সাহায্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয় প্রতিবছর। থাকে বেশ কিছু কর্মসূচি। এ দিন মুক্তি পায় নতুন যাত্রার পোস্টার। ‘নায়েক’রা (বিভিন্ন যাত্রার বুকিং করেন যাঁরা, এখন ‘কমিটি’ও বলা হয়।) আসেন। কিন্তু গত দু’বছর, অর্থাৎ ২০২০ ও ২০২১ সাল, বাংলার যাত্রাজগতের কাছে সময়টা ভাল ছিল না। করোনার কারণে থমকে ছিল যাত্রা। দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে, কাল (০১.০৭.২০২২) রথের দিন আবার সেজে উঠতে চলেছে চিৎপুর।

রীতি মেনে এবারও নতুন শিল্পীদের জন্য ১৫ দিনের কর্মশালা শুরু হবে কাল। সেখানে যাত্রা শেখাবেন যাত্রার প্রথিতযশা শিল্পীরা। প্রকাশিত হবে ‘যাত্রা দর্পণ’ নামের একটি বই। যাতে থাকবে কলকাতার ৫০-৬০টি যাত্রা দলের নাম ও শিল্পীদের তালিকা। থাকবে পোস্টারও। এই পোস্টার দেখেই নায়েকরা অগ্রিম বুকিং করবেন কাল। হবে নতুন লগ্নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন যাত্রা অ্যাকাডেমির সভাপতি অরূপ বিশ্বাস। থাকবে মাঙ্গলিক পুজোর আয়োজনও (যাত্রা জগতের কল্যাণে এই পুজো করা হয়)।

এবারের নতুন সংযোজন ‘বাদামকাকু’ ভুবনবাবু বাদ্যকার। তাঁকে দেখা যাবে যাত্রার মঞ্চেও। রথের আগেই যাত্রায় যুক্ত হওয়ার অফার পেয়েছেন ভুবন। যাত্রাপালার নাম ‘খোকাবাবুর খোলাঘর’। ‘শ্রী দুর্গা অপেরা’র এই যাত্রার জন্য রিহার্সাল শুরু করবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে ‘বাদামকাকু’ আগেই বলেছেন, ‘‘যাত্রা পালায় আমি পিতাজির (পড়ুন বাবা) চরিত্রে অভিনয় করছি।’’ এরপর অত্যন্ত সরল ভঙ্গিতে ভুবন প্রতিবেদককে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘যাত্রায় অভিনয় করতে কি কোনও বাধা আছে?’’ বলেন, ‘‘আমি কোনওদিনও কোনও যাত্রাপালায় অভিনয় করিনি। ওঁদের ভাল লাগছে আমার অভিনয়। আমি মনে করি, মানুষ হয়ে জন্মেছি যখন, আমাকে সব কিছু শিখতে হবে। মানবজন্মের উদ্দেশ্যই হল সব কর্ম করো। কোনও কাজকেই ছোট কিংবা বড় ভাবি না। আপনাদের, বাবা-মায়ের ও ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকলে সবকিছুই আমি করতে পারব।’’

দীর্ঘ দু’বছর পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে যাত্রা জগৎ। পুরোদমে শুরু হবে নতুন যাত্রার মহড়া। সেজে উঠবে মঞ্চ। ফের ভিড় জমবে খোলা ময়দানে, এই আশাতেই আপাতত বুক বাঁধছে চিৎপুর। এ বিষয়ে ‘সংগ্রামী যাত্রা প্রহরী’র সচিব ও অভিনেতা অনুভব দত্ত বলেছেন, “এবছর আবার নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব দল নতুনভাবে জেগে উঠেছে। গ্রাম বাংলাতে যাত্রার উন্মাদনা এখন তুঙ্গে।”

যাত্রা জগতের ‘সুচিত্রা সেন’ কাকলি চৌধুরী বলেছেন, “যাত্রা দেখার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছেন। এই দু’বছরে মানুষের যাত্রা দেখার খিদে আরও বেড়ে গিয়েছে। আমাকে দুটো পোস্টারে দেখা যাবে। আমিই নায়িকা। আমাদের কোম্পানি দুটো যাত্রাপালা করছে এ বছর।”

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে অবশেষে দু’বছর পর ফের সেজে উঠতে চলেছে বাংলার যাত্রাপাড়া চিৎপুর। রথের শুভ দিনে শিল্পী, প্রযোজক ও ইউনিয়নদের সংগঠন এক সঙ্গে মিলে, যাত্রা অ্যাকাডেমির সাহায্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয় প্রতিবছর। থাকে বেশ কিছু কর্মসূচি। এ দিন মুক্তি পায় নতুন যাত্রার পোস্টার। ‘নায়েক’রা (বিভিন্ন যাত্রার বুকিং করেন যাঁরা, এখন ‘কমিটি’ও বলা হয়।) আসেন। কিন্তু গত দু’বছর, অর্থাৎ ২০২০ ও ২০২১ সাল, বাংলার যাত্রাজগতের কাছে সময়টা ভাল ছিল না। করোনার কারণে থমকে ছিল যাত্রা। দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে, কাল (০১.০৭.২০২২) রথের দিন আবার সেজে উঠতে চলেছে চিৎপুর।

রীতি মেনে এবারও নতুন শিল্পীদের জন্য ১৫ দিনের কর্মশালা শুরু হবে কাল। সেখানে যাত্রা শেখাবেন যাত্রার প্রথিতযশা শিল্পীরা। প্রকাশিত হবে ‘যাত্রা দর্পণ’ নামের একটি বই। যাতে থাকবে কলকাতার ৫০-৬০টি যাত্রা দলের নাম ও শিল্পীদের তালিকা। থাকবে পোস্টারও। এই পোস্টার দেখেই নায়েকরা অগ্রিম বুকিং করবেন কাল। হবে নতুন লগ্নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন যাত্রা অ্যাকাডেমির সভাপতি অরূপ বিশ্বাস। থাকবে মাঙ্গলিক পুজোর আয়োজনও (যাত্রা জগতের কল্যাণে এই পুজো করা হয়)।

এবারের নতুন সংযোজন ‘বাদামকাকু’ ভুবনবাবু বাদ্যকার। তাঁকে দেখা যাবে যাত্রার মঞ্চেও। রথের আগেই যাত্রায় যুক্ত হওয়ার অফার পেয়েছেন ভুবন। যাত্রাপালার নাম ‘খোকাবাবুর খোলাঘর’। ‘শ্রী দুর্গা অপেরা’র এই যাত্রার জন্য রিহার্সাল শুরু করবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে ‘বাদামকাকু’ আগেই বলেছেন, ‘‘যাত্রা পালায় আমি পিতাজির (পড়ুন বাবা) চরিত্রে অভিনয় করছি।’’ এরপর অত্যন্ত সরল ভঙ্গিতে ভুবন প্রতিবেদককে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘যাত্রায় অভিনয় করতে কি কোনও বাধা আছে?’’ বলেন, ‘‘আমি কোনওদিনও কোনও যাত্রাপালায় অভিনয় করিনি। ওঁদের ভাল লাগছে আমার অভিনয়। আমি মনে করি, মানুষ হয়ে জন্মেছি যখন, আমাকে সব কিছু শিখতে হবে। মানবজন্মের উদ্দেশ্যই হল সব কর্ম করো। কোনও কাজকেই ছোট কিংবা বড় ভাবি না। আপনাদের, বাবা-মায়ের ও ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকলে সবকিছুই আমি করতে পারব।’’

দীর্ঘ দু’বছর পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে যাত্রা জগৎ। পুরোদমে শুরু হবে নতুন যাত্রার মহড়া। সেজে উঠবে মঞ্চ। ফের ভিড় জমবে খোলা ময়দানে, এই আশাতেই আপাতত বুক বাঁধছে চিৎপুর। এ বিষয়ে ‘সংগ্রামী যাত্রা প্রহরী’র সচিব ও অভিনেতা অনুভব দত্ত বলেছেন, “এবছর আবার নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব দল নতুনভাবে জেগে উঠেছে। গ্রাম বাংলাতে যাত্রার উন্মাদনা এখন তুঙ্গে।”

যাত্রা জগতের ‘সুচিত্রা সেন’ কাকলি চৌধুরী বলেছেন, “যাত্রা দেখার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছেন। এই দু’বছরে মানুষের যাত্রা দেখার খিদে আরও বেড়ে গিয়েছে। আমাকে দুটো পোস্টারে দেখা যাবে। আমিই নায়িকা। আমাদের কোম্পানি দুটো যাত্রাপালা করছে এ বছর।”

Next Article