নীতা অম্বানি থেকে করিনা কাপুর, এই মানুষটির কাছে ঋণী প্রতিটি তারকা
এ যেন এক মায়াবী সম্পর্ক। অনেকটা শ্রীকৃষ্ণ এবং মা যশোদার গল্পের মতো। যিনি জন্ম দেননি, নেই কোনও রক্তের সম্পর্ক, তবুও হাজার তারকার মাঝেও তিনি হয়ে উঠেছেন বিশেষ। এই মহিলার নাম ললিতা ডিসিলভা। একেবারে সাদামাঠা, সাধারণ মানুষ হয়েও যেন তিনি এক তারকা।

এ যেন এক মায়াবী সম্পর্ক। অনেকটা শ্রীকৃষ্ণ এবং মা যশোদার গল্পের মতো। যিনি জন্ম দেননি, নেই কোনও রক্তের সম্পর্ক, তবুও হাজার তারকার মাঝেও তিনি হয়ে উঠেছেন বিশেষ। এই মহিলার নাম ললিতা ডিসিলভা। একেবারে সাদামাঠা, সাধারণ মানুষ হয়েও যেন তিনি এক তারকা। এমনকি, তারকা পরিবারের মধ্যে থেকেও তাঁর মহিমা অস্বীকার করা যায় না।
ললিতা পেশায় আয়া, বা ‘ন্যানি’ (ন্যানি হিসেবে পরিচিত), আর আজকের দিনে সে কথা শুনে অনেকেই বিস্মিত হতে পারেন। একসময়, ছোটবেলায়, অনন্ত অম্বানির মা নীতা অম্বানি অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতেন। সে সময়ই ললিতা, যিনি নিজের পেশায় নিখুঁত, অনন্তকে মানুষ করেছেন, কোলেপিঠে করে বড় করেছেন। এখন, যখন অনন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠেছেন, আর তিনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী পরিবারের সন্তান, তখনও অম্বানি পরিবার ললিতাকে ভুলে যায়নি।
অনন্ত অম্বানি, যিনি এখন ‘ন্যানির’ প্রয়োজন আর অনুভব করেন না, তাঁকে কখনও ভুলে যাননি ললিতার ভূমিকা। একসময়, যিনি তাকে খাওয়াতেন, ঘুম পাড়াতেন, সেই ললিতাকে তাঁর বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিতে তাদের জন্য বড় কোনো অপরাধ নয়। ললিতা আবেগঘন হয়ে অনন্তকে জড়িয়ে ধরেন এবং সেলফি তোলেন, যখন তিনি তার মা নীতা অম্বানির কাছেও চলে যান।
ললিতার কাছে, অনন্ত শুধু তার ‘বেবি’ নয়, এক জীবনের ঋণ। তিনি নিজের কাজ শুরু করেছিলেন অনন্তকে দেখাশোনা করে। বহু পুরনো একটি ছবি শেয়ার করে ললিতা লিখেছেন, “এখান থেকেই আমি বেবিকেয়ারের চাকরি শুরু করি। অনন্ত খুব ভালো ছেলে ছিল। তার বিয়ে দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত।”
এছাড়া, ললিতা শুধু অনন্তই নয়, আরও অনেক স্টারকিডের বড় হয়ে ওঠার সাক্ষী। যেমন, করিনা কাপূর এবং সইফ আলী খানের সন্তান তৈমুর এবং জেহের ন্যানি হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর হাত ধরে অনেক তারকা সন্তানের শৈশব কেটেছে। অম্বানি পরিবার তাঁর এই অনবদ্য অবদানের জন্য তাকে ভুলেনি, আর অনন্ত তো কখনও ভুলতে পারে না।





