AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সইফ নয়, জীবনদাতা অটোচালককে মোটা টাকা পুরস্কার দেবেন মিকা, জানেন কত?

সইফকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর নেপথ্যে যে সুপারহিরো রয়েছেন, তিনি হলেন অটোচালক ভজন সিং রানা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগে ভজনকে জড়িয় ধরে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সইফ। আর তাঁর পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছেন ১১ হাজার টাকা!

সইফ নয়, জীবনদাতা অটোচালককে মোটা টাকা পুরস্কার দেবেন মিকা, জানেন কত?
| Updated on: Jan 23, 2025 | 12:36 PM
Share

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সইফ আলি খান। তবে চিকিৎসকদের কথায় তাঁকে কয়েকদিন বাড়িতেই বিশ্রামে থাকতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, খুব কপাল জোরে সইফ প্রাণে বেঁচেছেন। ঠিক সময় যদি সইফকে হাসপাতালে না আনা হতো, তাহলে ঘটতে পারত বড়সড় বিপদ। আর সইফকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর নেপথ্যে যে সুপারহিরো রয়েছেন, তিনি হলেন অটোচালক ভজন সিং রানা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগে ভজনকে জড়িয় ধরে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সইফ। আর তাঁর পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছেন ১১ হাজার টাকা! সইফের এই টাকা দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জনপ্রিয় গায়ক মিকা সিং। তাঁর কথায়, জীবনদাতা অটোচালককে ১১ হাজার নয়, ১১ লাখ টাকা দেওয়া উচিত।

তবে মিকার দাবি এখানেই শেষ নয়। ইনস্টাগ্রামে মিকা লিখলেন, বলিউডের সুপারস্টারকে বাঁচিয়ে যে সততা ও ভাল মানুষের প্রমাণ দিয়েছেন ভজন। তার জন্য ভজনকে মোটা অঙ্কের পুরস্কার দেওয়া উচিত। অন্তত, ১১ লাখ টাকা! আমাকে কেউ অটোচালকের ফোন নাম্বার দিন। আমি তাঁকে যোগাযোগ করে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দিতে চাই।

নাম তাঁর ভজন সিং রানা। এতদিন তাঁকে লোকে শুধুমাত্র অটোচালক হিসেবেই চিনতেন। কিন্তু গত বুধবার রাতে রক্তাক্ত সইফকে হাসপাতালে পৌঁছে, খান পরিবারের কাছে তিনি সুপারহিরো। জীবনদাতা। আর মঙ্গলবার হাসপাতালে যখন সইফকে দেখতে গেলেন জীবনদাতা অটোচালক ভজন, তখন দূরে ঠেলে রাখলেন না সইফ। কাছে টেনে জড়িয়ে ধরলেন। শুধুই কী তাই, আড্ডা দিলেন বেশ কিছুক্ষণ। আর সইফের মা শর্মিলা ঠাকুর, কাছে ডাকলেন ভজনকে। মাথায় হাত বুলিয়ে করলেন আশীর্বাদ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে অটোচালক সেই রাতের ভয়াবহতার কথা জানিয়ে ছিলেন। জানিয়ে ছিলেন সইফকে প্রথমে চিনতেই পারেননি তিনি, পরে আহত সইফই জানান, তিনি অভিনেতা সইফ আলি খান। তারপর একছুট্টে অটো গিয়ে দাঁড়ায় লীলাবতি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তখনই জানিয়ে ছিলেন, সইফকে দ্রুত আনার কারণে চিকিৎসায় সাহায্য হয়েছে।

প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সেদিন রাতের জন্য অটোচালককে নাকি কোনও অটো ভাড়াই দেননি সইফ। তবে পরে অটোচালক নিজেই জানিয়ে ছিলেন সইফের পরিবারের থেকে ১১ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি।