সকাল থেকে টলিপাড়ার অন্দরে খুশির হাওয়া। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সপ্তাহের শুরুতেই এমন একটা সুখবর পেয়ে খুশির হাওয়া স্টুডিয়োপাড়ায়। নিজেদের আনন্দের কথা একে একে TV9 বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্য়ায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে। ৩০ অক্টোবর প্রসেনজিতের জন্মদিন। আর বিশেষ দিনের সকালেই এই সুখবর। স্বাভাবিক ভাবে আরও খুশি অভিনেতা। TV9 বাংলাকে নায়ক বললেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই মানুষটার বিশাল বড় ফ্যান। যে ডিস্কো ডন্সার থেকে তাহাদের কথা করতে পারে সে তো আমার কাছে অনুপ্রেরণা। আক্ষরিক অর্থে এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য মিঠুনদা। এত বছর ধরে নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের যে জায়গাটা তৈরি করেছেন আমরা গর্বিত। দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা তিনি। এত বছরেও মিঠুনদা থামেননি। গুরু দেখার সময় রীতিমতো কেঁদে ফেলেছিলাম। দাদাকে আমার প্রণাম। এই মুহূর্তটাকে আমাদের সকলের উদযাপন করা উচিত।”
শুধু প্রসেনজিত্ নন ঋতুপর্ণা, পরমব্রতরও একই বক্তব্য। মিঠুনের বিপরীতে অভিনয় করতেও দেখা গিয়েছে নায়িকাকে। একই ফ্রেমে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন নায়িকা। ফলে তাঁর মনে আলাদা অনুভূতি। সিঙ্গাপুর থেকে TV9 বাংলাকে ঋতুপর্ণা বললেন, “খুব আনন্দ হচ্ছে। এই পুরস্কার, এই সম্মান মিঠুনদার প্রাপ্য। আমাদের কাছে দাদা অনুরপ্রেরণা। উনি আমাদের ভারতবর্ষের গর্ব। সম্প্রতি তাঁর অভিনীত কাবুলিওয়ালা ছবি দেখে আমি খুব কেঁদেছি।”
মিঠুনের দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার খবর পাওয়ার পর পরমব্রত জানিয়েছেন, খুবই আনন্দিত তিনি। অভিনেতা বলেন, “সিনেমা নিয়ে যে দিন থেকে জ্ঞান হয়েছে দাদার কাজ দেখেছি। মিঠুনদা এখনও সেই উদ্যম নিয়ে কাজ করেন। আমরা এখন একসঙ্গে কাজ করছি। খুবই গর্ববোধ হচ্ছে।” অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষেরও একই মত। তিনি জানিয়েছেন, মিঠুন চক্রবর্তী যে সম্মান পেলেন খুব কম অভিনেতার ভাগ্যে জোটে। বাণিজ্যিক ছবি এবং অন্যধারার ছবি, দুই ঘরানার ছবির জন্যই উনি বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। অসম্ভব খুশির খবর।