সেই আট-নয় দশকের কথা। সে সময় আরবসাগরের পারে তখন আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়াদের রমরমা। বলিপাড়ার নায়কদের বাড়িতে প্রায়শই আসতে থাকে হুমকি। এমনই হুমকিতে জেরবার হতে হয়েছিল একাধিক বলি তারকাকে। এমনকি নায়িকাদের কাছে আসত শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার প্রস্তাব। সেই টানাপড়েনে পড়ে নাস্তানাবুদ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল রাকেশ রোশনকেও। ছেলে হৃতিক রোশনের জন্য মাফিয়া গোষ্ঠীর কবলে পড়তে হয় তাঁকে। ঈশ্বরের দয়ায় সে বার মরতে মরতে বেঁচেছিলেন তিনি। এত বছর পেরিয়ে গিয়েও সেই স্মৃতি এখনও দগদগে। ২০০০ সালে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ যখন মুক্তি পেয়েছিল সে সময়ই ভয়ানক বিপর্যয় ঘটে রোশন পরিবারে। কী ঘটেছিল?
‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ রিলিজ করতেই রাতারাতি খ্যাতির শিরোনামে পৌঁছে যান হৃতিক। রোশন পরিবার যখন ছবির গগনচুম্বী সাফল্যে মাতোয়ারা, ঠিক তখনই রাকেশ রোশনকে আক্রমণ করে মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ড। তাঁদের মুম্বইয়ের অফিসের বাইরে দুটি গুলি করা হয় রাকেশকে। নিজের বুদ্ধির জোরে প্রাণে বাঁচেন পরিচালক। কোনও মতে প্রাণ হাতে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন তিনি। কেন মাফিয়াদেন নিশানায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে? বর্ষীয়ান পরিচালক সম্প্রতি বলেছেন, “আমি কোনওদিনই ওদের সেরকম কোনও ইঙ্গিত দিইনি যে হৃতিক ওদের টাকায় সিনেমায় করবে। আমি বারবার ওদের প্রস্তাব এড়িয়ে যাই। বলি যে, হৃতিকের ডেট ফাঁকা নেই। আদতেও সত্যিই ছিল না তখন। এর পর ওরা আমাকে অন্য প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে হৃতিকের ডেট ম্যানেজ করার নির্দেশ দেয়। আমি সেবারও আস্বীকার করি। আমাদের মধ্যে অনেকেই অনেক কিছু সহ্য করে চুপ ছিল, তবে ওদের অন্যায় আবদারের কাছে আমি মাথা নোয়াইনি কোনওদিন।” এই কারণেই মহা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল রাকেশকে।