কোন ক্ষেত্রে মেয়েরা সুরক্ষিত? গত কয়েকদিনে এই প্রশ্ন একাধিকবার উঠেছে। যে তালিকা থেকে বাদ পড়ে না সিনেদুনিয়াও। মাঝে মধ্যেই কাস্টিং কাউচ প্রসঙ্গে ঝড় ওঠে সর্বত্র। বহু অভিনেত্রীই টলিউডে কাস্টিং কাউচ, কুপ্রস্তাব প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। এই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে একই প্রশ্ন করা হয়েছিল পর্দার ‘বাহা’ অর্থাত্ রণিতা দাসের কাছে। তাঁর অবশ্য বিশ্বাস অন্য। নায়িকার একটাই মত যে নিজে ঠিক থাকলে কেউ গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারবেন না।
রণিতা বলেন, “নিজেকে সঠিক পথে রাখা সবার আগে প্রয়োজন। শুধু আমার কর্ম ক্ষেত্র নয় বাকিদের সঙ্গে কথা বলেও এটাই মনে হয়েছে আমার। রাস্তায় আসতে আসতে কিছু ঘটলে সেটা দুর্ঘটনা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে কোনও প্রলোভন বা কুপ্রস্তাবে সায় দেওয়া বা না দেওয়া পুরোটাই নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর। সায় না দিলে হয়তো কিছু কাজ যাবে। আমার কাছে যেমন আমি নিজের শিল্পসত্ত্বাকে কোনও কিছুর বিনিময়ে বিক্রি করতে পারব না। আমি কাজ করব আর তার বিনিময়ে নিজের পারিশ্রমিক নেব ব্যস। সেখানে অন্য কোনও প্রস্তাব এলে আমি তাতে সায় দেব না যদি না সেই ব্যক্তির প্রেমে থাকি আমি। তাতে কাজ গেলে যাবে। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মনের জোর থাকা দরকার।” এখানেই থেমে যাননি অভিনেত্রী। নায়িকা আরও যোগ করেন।
বলেন, “কলিযুগে নিজেদের চোখ,কান, নাক খোলা রাখা খুবই প্রয়োজন। এই যে রাত দখল হচ্ছে। সেখানে যেতে গেলেও নিজেদেরকে সজাগ থাকতে হবে। এত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি, এখনও পর্যন্ত কোনও পার্টিতে গেলে কারও গাড়িতে বাড়ি ফিরব! সেটার উপর আমি নির্ভরই করি না। নিজের গাড়ি, চেনা ড্রাইভার থাকলে তবেই সেই পার্টিতে যাব আমি। নিজেদের মেরুদণ্ডটা সোজা রাখতে। মনে করুন কাজের জায়গায় আমার গায়ে কেউ হাত দিয়েছে। আমার সেটা খারাপ লেগেছে। তেমনটা হলে আমি সঙ্গে সঙ্গে ফ্লোর ছেড়ে চলে যাব। আমি কাজ শেষ করে টাকা নিয়ে ছ’মাস পরে অভিযোগ জানাব না। সে দিক থেকে তো তাহলে আমারও ভুল থাকবে। আমার এই ব্যবহারেই আপত্তি। খারাপ মানুষ সর্বত্র আছে। সেটাকে সামলাতে জানতে হয়। এখনও পর্যন্ত এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কারও হয়নি।”