সন্তান হোক সুস্মিতার মতো, এমন ইচ্ছে প্রকাশ করলেন চারু

স্বরলিপি ভট্টাচার্য |

May 24, 2021 | 7:42 PM

সদ্য সাক্ষাৎকারে চারু জানিয়েছেন, সুস্মিতা তাঁর দেখা এমন মানুষ, যাঁর কোনও কিছুতেই কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। সুস্মিতার আদর্শ মেনে চলেন তিনিও।

সন্তান হোক সুস্মিতার মতো, এমন ইচ্ছে প্রকাশ করলেন চারু
চারু এবং সুস্মিতা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।

Follow Us

মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী (Actress) চারু অসপা সেন (Charu Asopa Sen)। সম্পর্কে তিনি অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের (Sushmita Sen) ভাইয়ের স্ত্রী। দিন দু’য়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেই সুখবর জানিয়েছিলেন চারু। এ বার জানালেন, ননদের মতোই হোক সন্তান, এটাই চান চারু।

সদ্য সাক্ষাৎকারে চারু জানিয়েছেন, সুস্মিতা তাঁর দেখা এমন মানুষ, যাঁর কোনও কিছুতেই কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। সুস্মিতার আদর্শ মেনে চলেন তিনিও। প্রতিদিন তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন সুস্মিতা। চারু চান, তাঁর সন্তান হোক সুস্মিতার মতোই।

চারুর কথায়, “দিদি আমার সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখে। যখন মুম্বইতে ছিলাম কোন চিকিৎসককে দেখাব, দিদি ঠিক করে দিয়েছিল। এখন বিকানিরে রয়েছি। এখানেও যাতে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে অসুবিধে না হয়, দিদি তার দেখভাল করছে। খুব উত্তেজিত ও। আমার ডিউ ডেটও দিদির জন্মদিনের সময়। আমি ওকে খুব শ্রদ্ধা করি। আমাদের ছেলে বা মেয়ে যাই হোক, আমি চাই দিদির মতো ভাল মানুষ হোক সে।”


চারু আরও জানান, প্রেগন্যান্সির ছ’সপ্তাহে তিনি প্রথম সোনোগ্রাফি করেন। সে সময় সন্তানের হৃদস্পন্দন শোনেন। নিজের ভিতরে আরও একটা প্রাণের স্পন্দন শোনার অভিজ্ঞতা ভাষায় ব্যখ্যা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

‘মেরে অঙ্গনে মে’-র অভিনেত্রীর আপাতত প্রায়োরিটি মাতৃত্ব। সন্তানের জন্মের পর কিছুদিন পরিবারে সময় দেবেন। সন্তান কিছুটা বড় হলে ফের কাজে ফেরার ইচ্ছে রয়েছে বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তিনি। আপাতত জীবনের এই বিশেষ পর্ব এনজয় করতে চান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর শেয়ার করার পরই চারুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। দীপিকা সিং, পারুল চৌধুরি, রেহান রায়, তানভি ঠাক্কের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হবু মাকে। সুস্মিতার বড় মেয়ে রেনে সোশ্যাল ওয়ালে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মামিসা আমাদের ছোট্ট সোনাকে প্যাম্পার করার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না’।

আরও পড়ুন, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদে খুশি হয়েছিলেন শ্রুতি হাসান!

Next Article