লকডাউনের পর ফের টেলিভিশনে ফিরছেন ঊষসী রায়?
নতুন কাজের বিষয়ে বেশ কিছু কথা হলেও এখনও কিছু ফাইনাল নয় বলেই জানালেন তিনি। তাই ভবিষ্যতের কাজ তাঁর কথায়, ‘ক্রমশ প্রকাশ্য, ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিই’।
ঊষসী রায় (Ushasi Ray)। কখনও দর্শকের প্রিয় ‘বকুল’, কখনও বা ‘কাদম্বিনী’। ছোট পর্দার ইনিংসে চুটিয়ে ব্যাট করেছেন অভিনেত্রী। তারপর কখনও ওয়েব প্ল্যাটফর্ম, কখনও বা টেলিভিশনের জন্য তৈরি অরিজিনাল ছবিতে অভিনয়। এ হেন ঊষসীর লকডাউনে সময় কাটছে কীভাবে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়ার্কআউটের ছবি শেয়ার করেছেন ঊষসী। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আউটসাইড দ্য কমফর্ট জোন, বাট ইনসাউড দ্য হাউজ’। নিজেকে মোটিভেট করার জন্যই কি ওয়ার্কআউট? নাকি পেশার খাতিরে নিয়মিত চর্চায় থাকেন তিনি?
ঊষসী হেসে বললেন, “লকডাউনের আগে থেকেই বাড়িতে বন্দি। নিজেকে ফোকাস করার জন্য ছবি তুলছি। যতটা না ওয়ার্কআউট, তার থেকে বেশি ফটো তুলছি। আমার আর্থারাইটিসের থ্রেট রয়েছে। সেজন্য ওয়ার্কআউট করতেই হয়। জিম যাওয়া অনেকদিন আগেই বন্ধ করেছি। বাড়িতেই করছি এখন।”
View this post on Instagram
এই মুহূর্তে টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে না ঊষসীকে। নতুন কাজের বিষয়ে বেশ কিছু কথা হলেও এখনও কিছু ফাইনাল নয় বলেই জানালেন তিনি। তাই ভবিষ্যতের কাজ তাঁর কথায়, ‘ক্রমশ প্রকাশ্য, ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিই’।
তবে আবার কি ধারাবাহিকেই ফিরবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ঊষসী বললেন, “টেলিভিশন আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। টেলিভিশন থেকে কোথাও যাইনি আমি। শো সঞ্চালনা বা অন্য কিছু করে টেলিভিশনে থাকার চেষ্টা করেছি। টেলিভিশন করার ভাল দিকও আছে। আবার সমস্যাও আছে। টেলিভিশন কমফর্ট জোন, কনস্ট্যান্ট ব্যাপার থাকে। একটাই চরিত্র দু বছর ধরে করে যাচ্ছি। সেভাবে চ্যালেঞ্জ নেই। কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে আমি এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই। টেলিভিশন ছাড়া অন্য মাধ্যমে কাজ করলে অনেক রকমের চরিত্রের সুযোগ কম সময়ে আসে।”
তবে আপাতত গৃহবন্দি ঊষসী। বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। বাবা, মা তাঁর বন্ধু। মন খারাপের সঙ্গী। অভিনেত্রী শেয়ার করলেন, “আমরা তিন বন্ধু। আমরা এমন ভাবে গল্প করি, একে অপরের লেগপুল করি, যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। দু’জনের সঙ্গেই মনের কথা প্রাণের কথা বলি। আবার লেগপুল না করলেও চলবে না। তাছাড়া বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলছি। প্রত্যেকদিন ফোন করে খোঁজ নিচ্ছি। নতুন সিনেমা, ওয়েব সিরিজ দেখেও সময় কাটাচ্ছি।”
আরও পড়ুন, ইউজ় থেকে অ্যাবিউজ়ের দিকে যেতে শুরু করলে লাইন টানতে হবে: মনোবিদ শতভিষা চট্টোপাধ্যায়