জীবন-যুদ্ধে একটা হাত লাগে, তিয়াসাকে সেই হাতটা বাড়িয়েছিলাম আমিই: সুবান রায়

গত বছর কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি, সুস্থ হয়ে মাস খানেক আগেই অভিনয় করেছেন জি-বাংলা অরিজিনালসে। খুব সম্প্রতি সান বাংলায় আসতে চলেছে ধারাবাহিক 'সুন্দরী'।

জীবন-যুদ্ধে একটা হাত লাগে, তিয়াসাকে সেই হাতটা বাড়িয়েছিলাম আমিই: সুবান রায়
সুবান-তিয়াসা
Follow Us:
| Updated on: Jul 14, 2021 | 9:41 PM

এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন গোবরডাঙার তিয়াসা…প্রয়োজন ছিল একটা হাতের। যে হাত শক্ত করে ধরবে তাঁকে…জীবনযুদ্ধে পার করবে অনেকটা রাস্তা। স্বামী সুবান  হতে চেয়েছিলেন সেই হাত… আর বাকিটা? তিয়াসা-সুবনের সম্পর্কের টানাপড়েনে যখন ইন্ডাস্ট্রিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে একের পর এক গুঞ্জন ঠিক তখনই দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে মুখ খুললেন সুবান। তাঁর সাক্ষী থাকল টিভিনাইন বাংলা।

সুবান রায়। ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে চেনে ছোট পর্দার ভিলেন হিসেবে। গোবরডাঙ্গা টু টালিগঞ্জ- নাটকের দল থেকেই ফ্ল্যাশলাইটের সাউন্ড, ক্যামেরা অ্যাকশন– তিয়াসার উত্তরণের সাক্ষী ছিলেন সুবান। গত বছরেও তিয়াসার জন্মদিনে স্পেশ্যাল সারপ্রাইজ দিয়েছিলেন অভিনেতা। লকডাউনে পোষ্যদের নিয়ে চুটিয়ে করেছেন সংসার। তাহলে?  তিয়াসা জানিয়েছেন, এ সব নাকি গুজব। আর সুবান? তিনি কী বলছেন? প্রথম বার খোলাখুলি কথা বললেন, কথা বললেন নিজের কাজ, সম্পর্কের ওঠাপড়া নিয়েও।

ওঁদের আলাপ থিয়েটারকে সাক্ষী রেখে। এক গ্রুপে অভিনয় করতেন তাঁরা। প্রথম মুলাকাতেই প্রেম, হঠাৎই বিয়ে। তারপর গোবরডাঙার ট্রেন কখন হুইশেল বাজাতে বাজাতে পাড়ি জমায় জ্যাম-জটে ভরা মহানগরীতে।  সুবানের কথায়, “তিয়াসাকে চিনি ওঁর অভিনয় জীবনের শুরু থেকে। নিজের জোরে একটা চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছে ও। মানুষ ওকে ভালবাসে। পছন্দ করে। আমি মনে করি ইন্ডাস্ট্রিতে এখনও নতুনও। পথ চলা বাকি অনেকটাই। ভালভাবে কাজ করছে। ও কে আমার শুভেচ্ছা।”

শুধুই শুভেচ্ছা, দিনের পর দিন ব্রেকআপ-বিচ্ছেদের খবর, রটনা তবে? থামলেন কিছুক্ষণ, এর পর বললেন, “বহু দিন থেকেই অভিনয়টা করি। থিয়েটার করেছি একটা সময় চুটিয়ে। সেখান থেকে আমার দুর্গাতে অন্যতম প্রধান চরিত্র। সামনেই বেশ কয়েকটি কাজ আসছে। তাই আপাতত কাজ নিয়েই কথা বলতে চাই।” খানিক থেমে যোগ করলেন, “আসলে কী জানেন, যাঁদের সেলেব বলা হয়, তাঁরাও তো মানুষ। তাঁদেরও ভাল-খারাপ মিশিয়েই জীবন। আজ খারাপ, কাল হয়তো ভাল। সবটা সবার সঙ্গে ভাগ না করাই ভাল, খানিকটা না হয় নিজের জন্যও থাকুক।”

গত বছর কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি, সুস্থ হয়ে মাস খানেক আগেই অভিনয় করেছেন জি-বাংলা অরিজিনালসে। খুব সম্প্রতি সান বাংলায় আসতে চলেছে ধারাবাহিক ‘সুন্দরী’। আর সেই ধারাবাহিকে আবারও ভিলেনের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। আবারও মেগা। ব্যস্ততা। চরিত্রের নাম বাপি। আমার দুর্গার পর আবারও এক ভিলেনের চরিত্রে তিনি। বললেন, “নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেও দর্শকের মন জয় করা, ভালবাসা পাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং। শুধু আমার দুর্গা নয়, এক যে ছিল খোকা, কে আপন কে পর, ইরাবতীর চুপকথা ইত্যাদিতেও দর্শক ভালবেসেছেন। আশা করছি এই ধারাবাহিকটিও সবার ভাল লাগবে।” নতুন কাজ, তিয়াসা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন? তাঁর কথায়, “আমার কাজ নিয়ে তিয়াসার সঙ্গে খুব একটা আলোচনা হয়নি, খুব একটা হয়ও না।”

একদিনে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গুঞ্জন, অন্যদিকে সমস্ত গসিপকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জনপ্রিয়তার নিরিখে তিয়াসার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। গোবরডাঙার থিয়েটার ঘর থেকে দক্ষিণ কলকাতায় নিজেদের আস্তানা… তিয়াসার জার্নির কৃতিত্ব নিজেকে কতটা দেবেন সুবান? তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে ছবি দেখেই তো  তিয়াসাকে পছন্দ হয়েছিল কাস্টিং ডিরেক্টরের, সেই তিন বছর আগে .. এক মুহূর্ত ভাবলেন সুবান, তারপর বললেন, ” জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যেতে একটা হাত লাগে, তিয়াসাকে সেই হাতটা বাড়িয়েছিলাম আমি, বাকিটা সম্পূর্ণ ওর ক্রেডিট। আমিতো নিমিত্ত মাত্র।” কিছু কি এড়িয়ে গেলেন তিনি?