‘অলস’, ‘মোবাইল অ্যাডিকটেড’ পরবর্তী প্রজন্মের প্রশংসায় সুদীপা
সুদীপা নিজের পাড়া নিয়ে গর্বিত। গর্বিত পাড়ার ছেলেদের নিয়ে। কখনও সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যান তাঁরা। কখনও বা পুলিশকর্মীদের চা-বিস্কুট খাওয়ানোতেই তাঁদের আনন্দ।
পাড়ার মোড়ে প্রতিদিন আপনি হয়তো তাঁদের আড্ডা দিতে দেখেন। তাঁরাই হয়তো মোবাইল হাতে পেলে বিশ্ব সংসার ভুলে যান ভার্চুয়াল জগতের নেশায়। তাঁরাই আপনার কথায় হয়তো ‘অলস’। কিন্তু তাঁরাই বিপদের দিনে আপনার পাশে রয়েছেন। ঠিক এমনটাই মনে করেন সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। তাঁরা অর্থাৎ ‘পাড়ার ছেলে’।
সুদীপা নিজের পাড়া নিয়ে গর্বিত। গর্বিত পাড়ার ছেলেদের নিয়ে। কখনও সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যান তাঁরা। কখনও বা পুলিশকর্মীদের চা-বিস্কুট খাওয়ানোতেই তাঁদের আনন্দ। আর এ সব তাঁরা করেন বিনা পারিশ্রমিকে। কোনও রাজনৈতিক রং ছাড়াই এই উদ্যোগে গর্বিত সুদীপা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পাড়ার ছেলেদের নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সুদীপা। তিনি লিখেছেন, ‘…আমরা যখন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ‘অলস’, ‘সেলফ সেন্টার্ড’, ‘মোবাইল অ্যাডিকটেড’ বলে সমালোচনা করি- ঠিক তখনই একা বেড়িয়ে পরে। কাজ করতে। মানুষের জন্য কাজ করতে। সকলকে অবাক করে -এরা মানুষের জন্য কাজ করে। বিনা স্বার্থে। বিনা পারিশ্রমিকে। এরাই তো দেশের ভবিষ্যত। …ওরা আমার পাড়ার ছেলে। ওরা বালিগঞ্জের ২১পল্লী।’
সুদীপার পাড়ার দুর্গাপুজো বিখ্যাত। সেই পুজোর দায়িত্বেও থাকেন এই পাড়ার ছেলেরাই। কিন্তু সুদীপার মতে, ওঁরা শুধু দুর্গাপুজোই করেন না, সারা বছর মানুষের সেবা করেন। সেটাই সেরা পুজো।
আরও পড়ুন, ‘অ্যারেস্ট রণদীপ হুডা’ টুইটারে ভাইরাল! এর কারণ কী?