বাবাকে হারিয়েছেন মাস খানেক আগে। এখনও সেই ব্যক্তিগত ক্ষতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি তিনি। অর্থাৎ অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ধীরে ধীরে কাজে ফিরেছেন বটে। তবে এখনও শ্রীলেখার সোশ্যাল ওয়ালে বাবাকে নিয়েই হাহাকার। প্রতি মুহূর্তে বাবার কথা মনে পড়ছে তাঁর। বাবাকে মিস করছেন। সেই অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছেন ভার্চুয়াল দুনিয়ায়।
সদ্য ফেসবুকে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘এখনও ভয়েজ রেকর্ড করে পাঠাচ্ছি বাবার ফোনে। ‘হ্যাঁ বাবা শুটিংয়ে পৌঁছে গিয়েছি। শরীর ঠিক আছে। খুব ভাল হচ্ছে শুটিং’, ইত্যাদি ইত্যাদি…। বাবা হিসেবে দেখতে চাইতো মেয়ের ভাল কাজ, মেয়ের প্রশংসা চারদিকে। বলেছিলাম ‘একটু ওয়েট করো বাবা। ‘ওয়ান্স আপঅন আ টাইম ইন ক্যালকাটা’ রিলিজ করতে দাও।’ বাবা বলেছিল, ‘তোর এই ছবিটা দেখার জন্য বোধহয় এখনও বেঁচে আছি।’ একরাশ আফসোস আর আক্ষেপ নিয়ে আমার বেঁচে থাকার পালা যতদিন না…।’
চলতি বছরের দুর্গা পুজোয় বাড়ি থেকে বের হননি শ্রীলেখা। দুর্গা ঠাকুরের মুখ দেখেননি তিনি। কোনও নতুন পোশাক হয়নি তাঁর। বাড়িতেই একান্তে বাবার স্মৃতি আগলে কাটিয়েছেন। লক্ষ্মী পুজোও তার ব্যতিক্রম নয়। কোনও রকম পুজোর আয়োজন করেননি অভিনেত্রী। বরং তাঁর পোশ্যাল পোস্টে স্পষ্ট, এখনও ব্যক্তি জীবনের বিপর্যয়, শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
মাকে কয়েক বছর আগেই হারিয়েছিলেন শ্রীলেখা। এ বার চলে গেলেন বাবাও। কার্যত একা হয়ে পড়লেন তিনি। মা, বাবার ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমার আইডল আমার মা, বাবা, আমার সব কিছু, আমি হারিয়ে ফেললাম।’ কখনও বা বাবার ফেসবুক পেজের লিঙ্ক শেয়ার করে শ্রীলেখার আকুতি, ‘আমি তোমায় ছেড়ে বাঁচবো কী করে বাবা, আমি তো পারছি না বাবা, আমায় নিয়ে যাও।’ মা চলে যাওয়ার পর বাবাকে আগলে রাখতেন শ্রীলেখা। বাবা তাঁর বন্ধুর মতো হয়ে গিয়েছিলেন। গত ২৮ জুলাই বাবার সঙ্গে শেষ ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন শ্রীলেখা। কোনও পারিবারিক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বাবা এবং মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। সেখানে বাবার এবং তাঁর পোশাকের রং এক ছিল। তাই ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘বাবা, আমি সেম সেম’।
আরও পড়ুন, Ranieeta Dash: প্রকাশ্যে ওয়ার্নিং দিলেন অভিনেত্রী রনিতা দাস, কিন্তু কাকে?