‘গুমনামী’। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে ছবি তৈরি করেছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবি তৈরি ও তা মুক্তির সময় বিস্তর বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিলেন সৃজিত। অনেকে ছবি মুক্তি আটকেও দিতে চেয়েছিলেন। তবে সকল বিরোধিতাকে জয় করে প্রেক্ষাগৃহেই মুক্তি পায় ‘গুমনামী’।
সাল ২০১৯। তখন অবশ্য করোনা কী, কেউ জানত না। সম্পূর্ণ করোনামুক্ত পৃথিবীতে তৈরি ও মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। নেতাজির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। চন্দ্রচূড় ধরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
৬৭তম জাতীয় পুরস্কারে বাংলা ছবি হিসেবে দুটি সম্মান পেয়েছে ‘গুমনামী’। একটি কাহিনি অবলম্বনে রচিত সেরা চিত্রনাট্য। অন্যটি সেরা বাংলা ছবি। পুরস্কার পেয়ে দারুণ খুশি সৃজিত অ্যাওয়ার্ডের ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। লিখেছেন, “আমার নিজের ৫ নম্বর জাতীয় পুরস্কার। ১০ নম্বর আমার টিমের।”
তার এই পোস্টের তলায় কমেন্ট করেছেন এক প্রযোজক। তিনি রানা সরকার। বেশ মজা করেই সৃজিতকে প্রাণভরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “আশীর্বাদ, শত পুত্রের পিতা আর সহস্র সম্মানের অধিকারী হও।”
করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার পর গত মার্চে ঘোষিত হয়েছিল বিজয়ীদের নাম। সেরা বাংলা ছবির সম্মান পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘গুমনামী’। সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য এবং সেরা সঙ্গীত পরিচালনার জন্য সম্মান আদায় করে নিয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জোড়া পুরস্কার উত্সর্গ করেন প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষকে।
অন্যদিকে সেরা অভিনেতারর পুরস্কার পেয়েছেন দু’জন। ‘ভোঁসলে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য মনোজ বাজপেয়ী এবং তামিল ছবি ‘অসুরণ’- এ অভিনয়ের জন্য ধনুশ। ‘মণিকর্ণিকা’ এবং ‘পাঙ্গা’র জন্য সেরা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত ‘ছিছোরে’ পেল সেরা ছবির সম্মান। সেরা সহ-অভিনেতা বিজয় সেতুপতি এবং সহ-অভিনেত্রীর মুকুট গেল পল্লবী যোশির মাথায়। বেস্ট বুক অফ সিনেমার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে অশোক রাহানের মারাঠি বই ‘দ্য ম্যান হু ওয়াচেস’। নন-ফিচার ফিল্ম বিভাগে বেস্ট ফিল্ম সমালোচক হিসেবে এ বছর সম্মানিত হলেন সোহিনী চট্টোপাধ্যায়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে উল্লেখযোগ্য এক ডজন:
১. সেরা বাংলা ছবি: গুমনামী
২. সেরা হিন্দি সিনেমা: ছিছোরে
৩. সেরা সঙ্গীত পরিচালনা: প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় (জ্যেষ্ঠপুত্র)
৪. কাহিনি অবলম্বনে রচিত সেরা চিত্রনাট্য: সৃজিত মুখোপাধ্যায় (গুমনামী)
৫. সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (জ্যেষ্ঠপুত্র)
৬. সেরা হিন্দি ছবি: ‘ছিছোরে’ (সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত শেষ ছবি)
৭. সেরা অভিনেত্রী: কঙ্গনা রানাওয়াত (‘মনিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ও ‘পঙ্গা’-র জন্য়)
৮. সেরা অভিনেতা: মনোজ বাজপেয়ী (‘ভোঁসলে’ ছবির জন্য ) ও ধনুশ (তামিল ছবি ‘অসুরণ’-এর জন্য)
৯. সেরা প্রচারমূলক ছবি: বৌদ্ধায়ণ মুখোপাধ্যায় (দ্য শাওয়ার)
১০. সেরা চিত্রনাট্য় (সংলাপ রচয়িতা): বিবেক অগ্নিহোত্রী (দ্য় তাশখন্ত ফাইলস)
১১. সেরা চিত্রগ্রহণ: জাল্লিকাট্টু
১২. সেরা পরিচালক: সঞ্জয় পূরণ সিং চৌহান (বাহাত্তর হুরেঁ)
আরও পড়ুন: Kangana Ranaut: চতুর্থ জাতীয় পুরস্কার হাতে মা-বাবার জন্য কী বার্তা দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত?
আরও পড়ুন: National Film Awards: জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে দাদাসাহেব ফালকে গ্রহণ করলেন রজনীকান্ত
‘গুমনামী’। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে ছবি তৈরি করেছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবি তৈরি ও তা মুক্তির সময় বিস্তর বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিলেন সৃজিত। অনেকে ছবি মুক্তি আটকেও দিতে চেয়েছিলেন। তবে সকল বিরোধিতাকে জয় করে প্রেক্ষাগৃহেই মুক্তি পায় ‘গুমনামী’।
সাল ২০১৯। তখন অবশ্য করোনা কী, কেউ জানত না। সম্পূর্ণ করোনামুক্ত পৃথিবীতে তৈরি ও মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। নেতাজির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। চন্দ্রচূড় ধরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
৬৭তম জাতীয় পুরস্কারে বাংলা ছবি হিসেবে দুটি সম্মান পেয়েছে ‘গুমনামী’। একটি কাহিনি অবলম্বনে রচিত সেরা চিত্রনাট্য। অন্যটি সেরা বাংলা ছবি। পুরস্কার পেয়ে দারুণ খুশি সৃজিত অ্যাওয়ার্ডের ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। লিখেছেন, “আমার নিজের ৫ নম্বর জাতীয় পুরস্কার। ১০ নম্বর আমার টিমের।”
তার এই পোস্টের তলায় কমেন্ট করেছেন এক প্রযোজক। তিনি রানা সরকার। বেশ মজা করেই সৃজিতকে প্রাণভরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “আশীর্বাদ, শত পুত্রের পিতা আর সহস্র সম্মানের অধিকারী হও।”
করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার পর গত মার্চে ঘোষিত হয়েছিল বিজয়ীদের নাম। সেরা বাংলা ছবির সম্মান পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘গুমনামী’। সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য এবং সেরা সঙ্গীত পরিচালনার জন্য সম্মান আদায় করে নিয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জোড়া পুরস্কার উত্সর্গ করেন প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষকে।
অন্যদিকে সেরা অভিনেতারর পুরস্কার পেয়েছেন দু’জন। ‘ভোঁসলে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য মনোজ বাজপেয়ী এবং তামিল ছবি ‘অসুরণ’- এ অভিনয়ের জন্য ধনুশ। ‘মণিকর্ণিকা’ এবং ‘পাঙ্গা’র জন্য সেরা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত ‘ছিছোরে’ পেল সেরা ছবির সম্মান। সেরা সহ-অভিনেতা বিজয় সেতুপতি এবং সহ-অভিনেত্রীর মুকুট গেল পল্লবী যোশির মাথায়। বেস্ট বুক অফ সিনেমার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে অশোক রাহানের মারাঠি বই ‘দ্য ম্যান হু ওয়াচেস’। নন-ফিচার ফিল্ম বিভাগে বেস্ট ফিল্ম সমালোচক হিসেবে এ বছর সম্মানিত হলেন সোহিনী চট্টোপাধ্যায়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে উল্লেখযোগ্য এক ডজন:
১. সেরা বাংলা ছবি: গুমনামী
২. সেরা হিন্দি সিনেমা: ছিছোরে
৩. সেরা সঙ্গীত পরিচালনা: প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় (জ্যেষ্ঠপুত্র)
৪. কাহিনি অবলম্বনে রচিত সেরা চিত্রনাট্য: সৃজিত মুখোপাধ্যায় (গুমনামী)
৫. সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (জ্যেষ্ঠপুত্র)
৬. সেরা হিন্দি ছবি: ‘ছিছোরে’ (সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত শেষ ছবি)
৭. সেরা অভিনেত্রী: কঙ্গনা রানাওয়াত (‘মনিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ও ‘পঙ্গা’-র জন্য়)
৮. সেরা অভিনেতা: মনোজ বাজপেয়ী (‘ভোঁসলে’ ছবির জন্য ) ও ধনুশ (তামিল ছবি ‘অসুরণ’-এর জন্য)
৯. সেরা প্রচারমূলক ছবি: বৌদ্ধায়ণ মুখোপাধ্যায় (দ্য শাওয়ার)
১০. সেরা চিত্রনাট্য় (সংলাপ রচয়িতা): বিবেক অগ্নিহোত্রী (দ্য় তাশখন্ত ফাইলস)
১১. সেরা চিত্রগ্রহণ: জাল্লিকাট্টু
১২. সেরা পরিচালক: সঞ্জয় পূরণ সিং চৌহান (বাহাত্তর হুরেঁ)
আরও পড়ুন: Kangana Ranaut: চতুর্থ জাতীয় পুরস্কার হাতে মা-বাবার জন্য কী বার্তা দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত?
আরও পড়ুন: National Film Awards: জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে দাদাসাহেব ফালকে গ্রহণ করলেন রজনীকান্ত