শোকে পাথর টলিউড। ফেসবুকের পাতা থেকে স্টুডিয়োর প্রতিটি কোণা আজ বিষাদময়। এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। কী বা বয়স হয়েছিল তাঁর? মোটে ৫৭। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় এ কি আদপে চলে যাওয়ার বয়স?
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, ইন্ডাস্ট্রির প্রিয় ‘মিঠুদা’। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন যিনি। কেরিয়ার শুরু তরুণ মজুমদারেরর ‘পথভোলা’ দিয়ে। ওই ছবিতেই অভিনয় করেছিল ইন্ডাস্ট্রির তিন ত্রয়ী: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল ও অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তাপস পাল চলে গিয়েছেন আগেই, এবার অভিষেক। খবরটা যেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। TV9 বাংলার সঙ্গে ধরা গলায় শুধু একটাই কথা তাঁর, “কী বলব বলুন তো? এর চেয়ে খারাপ খবর কি আর হতে পারে? কী প্রতিক্রিয়া দেব?” একটু থেমে বললেন, “এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়াও কঠিন, ভীষণ কঠিন। ভাল লাগছে না, কিচ্ছু ভাল লাগছে না।”
অভিষেককে ইন্ডাস্ট্রি চিনিয়েছিলেন যিনি, তিনি পরিচালক তরুণ মজুমদার। তাঁর প্রথম ছবির পরিচালক। অশীতিপর পরিচালকের মন যেন আরও ভারাক্রান্ত। সকালেই TV9 বাংলার ফোনে তাঁরও প্রতিক্রিয়া খানিক প্রসেনজিতেরই অনুরূপ। বললেন, “আমি কিছু বলব না, কিছু বলার সময় নয় এটা। কিচ্ছু বলার নেই আমার… আমায় ক্ষমা করবেন।”
মৃত্যু অসম্ভবভাবী। কিন্তু যে মানুষটি আগের দিনও শুট করেছেন, তিনি হঠাৎ ‘নেই’ হয়ে গেলেন, তা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না শিল্পীমহল। জুনিয়র থেকে সিনিয়র, সহকর্মী থেকে টেকনিশিয়ান সবারই আজ মন ভারাক্রান্ত। মরদেহের উপর আছাড়িপিছাড়ি কান্না অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মুখে হতাশা আর প্রসেনজিতের নির্বাক অভিব্যক্তিই যেন বুঝিয়ে দিচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির কতটা কাছের ছিলেন তিন। নিতেন আপন করে, হয়েও যেতেন আপন।