AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tarun Majumdar Death: ‘৩ সপ্তাহ আগেও কথা হয়েছিল, শুরু হবে নতুন ছবির কাজ,’ তরুণ মজুমদারের পথ চেয়ে সম্পাদক মলয় লাহা

Malay Laha: আজ সত্যি বলতে কি বেশি কথা বলার মতো অবস্থায় আমরা কেউ নেই। তবে একটা বিষয় সমস্ত মানুষের জানা উচিত তরুণ মজুমদারের সম্পর্কে...

Tarun Majumdar Death: '৩ সপ্তাহ আগেও কথা হয়েছিল, শুরু হবে নতুন ছবির কাজ,' তরুণ মজুমদারের পথ চেয়ে সম্পাদক মলয় লাহা
| Updated on: Jul 04, 2022 | 4:12 PM
Share

তরুণ মজুমদার ও মলয় লাহা, দীর্ঘ দিনের এই জুটির পথচলা। নতুন প্রজন্মকে কীভাবে সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এসেছিলেন পরিচালক, তার অন্যতম সাক্ষী খোদ মলয়বাবু। এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি, আরও অনেক অনেক ছবি বানানোর পরিকল্পনা, একবুক স্বপ্নেরা আজ ডানা ঝাপটাচ্ছে… তিনি নেই। ৯২ বছর বয়সেও যে মানুষটি ছবি আঁকড়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে পারেন, আজ তিনি নেই… TV9 বাংলায় স্মৃতিচারণ করলেন তরুণ মজুমদারের ছবির সম্পাদক মলয় লাহা। 

‘আলো’র হাত ধরেই যাত্রা শুরু

সাল ২০০৫, না ঠিক ‘আলো’-র হাত ধরে বলাটা ঠিক হবে না। কারণ তরুণবাবুর আলো ছবি আমি এডিট করিনি। তবে এই ছবির দৈর্ঘ্য কমিয়ে তা নানা ফেস্টিভ্যালে পাঠানোর যখন পরিকল্পনা চলছিল, আমি সেই ফেস্টিভ্যাল প্রিন্ট তৈরির সময় সুযোগ পেয়েছিলাম কাজের। ‘আলো’র ছোট সংস্করণ আমার হাতেই তৈরি। তবে থেকেই পথচলা শুরু। এরপর নির্বাচণের জন্য একটি শর্টফিল্ম বানিয়ে ছিলেন আমার সঙ্গে। আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছর একযোগে কাজ করা।

ওঁর সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তই এক-একটি গল্প

সত্যি বলতে আলাদা করে কোনটা বলব এই মুহূর্তে বুঝে উঠতে পারছি না। সকলের মতো আমিও বাকরুদ্ধ। সত্যি কথা বলতে কি ওঁর সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তই এক-একটি গল্প। আমরা, মানে আমাদের প্রজন্মরা তো তখন সবে কাজ শুরু করছে। উনি যেভাবে সাহায্য করেছিলেন, তৈরি করেছিলে, কাজ শিখিয়েছিলেন, আজ ভাবা যায় না। এগুলোই শেখায় কীভাবে পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। কীভাবে ছোটদের তৈরি হতে বড়রা সাহায্য করে। আজকের সময় দাঁড়িয়ে যেটার ভীষণ অভাব।

তরুণ মজুমদারকে নিয়ে এটা কিন্তু ভুল ধারণা  ভাঙা উচিত

আজ সত্যি বলতে কি বেশি কথা বলার মতো অবস্থায় আমরা কেউ নেই। তবে একটা বিষয় সমস্ত মানুষের জানা উচিত তরুণ মজুমদারের সম্পর্কে, সেটা কী জানো- ওঁনার রাশভারী ব্যক্তিত্ব। হ্যাঁ, যাঁরা বলেন তাঁরা ঠিক বলেন। উনি অবশ্যই রাশভারী ছিলেন। তবে ওঁর মত রসিক মানুষ আমি জীবনে খুব কম দেখেছি। একই সঙ্গে রাশভারী আবার একই সঙ্গে রসিক এমন মানুষ সত্যি হয় না। সকলে যা ওপর-ওপর দেখতেন সেটা খোলস মাত্র। একটু কাছে গেলেই মানুষটার ভালবাসা পাওয়া যেত।

তরুণবাবু কিছু চাপিয়ে দিতেন না, ভাবতে শেখাতেন

আমরা নানা পরিচালকের কাছে কাজ করি, টুকরো টুকরো শুটিং ভিডিয়োর মালায় গাঁথি। পরিচালকের সিদ্ধান্ত মতামতটাই সেখানে শেষ কথা। তবে তিনি কখনও কিছু চাপিয়ে দিতেন না। উনি ভীষণভাবে গোছানো একটি মানুষ। ঠিক ওঁর ছবির ধাঁচের মতো। পাশাপাশি তিনি ভীষণ খোলামেলাও, বলতেন, ”নিজে করুন, আপনি কিন্তু আপনার মতো করে ভাববেন। এমন নয় যে আমি যেভাবে ভেবে রেখেছি, আপনাকে সেই পথেই চলতে হবে”। এদিকে ওঁরও কাজে কোনও ফাঁকি নেই। তবে তাঁরই চিন্তার ওপর ভর করে নতুন কিছু যে করা যায়! সেই ভাবনার জানলাটা নিজেই খুলে দিতেন। এগুলোই শ্রেষ্ট পাওয়া।

‘ভালবাসার বাড়ি’ই শেষ নয়…

হয়তো ২০১৮ সালে ভালবাসার বাড়ি পরিচালক তরুণ মজুমদারের শেষ ছবি হয়ে রয়ে গেল। তবে সেটাই শেষ নয়… একাধিক ছবির পরিকল্পনা ছিল তাঁর। গত তিন সপ্তাহ আগেও পরবর্তী ছবির কাজ নিয়ে কথা হয় আমার সঙ্গে। অপেক্ষায় ছিলাম কাজ শুরুর… অপেক্ষাটা থেকেই গেল…।