উত্তমের লাথি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন সাবিত্রী, কোমরে বড় আঘাত! কেন এমন আচরণ মহানায়কের?
সিনেমার পর্দায় যখনই তাঁরা একসঙ্গে জুটি বেঁধে আসতেন, কখনই মনে হত না, উত্তম-সবিত্রী অভিনয় করছেন। যেন পুরোটাই বাস্তব। তা ভ্রান্তবিলাস, কাল তুমি আলেয়া, নিশীপদ্ম কিংবা গলি থেকে রাজপথ বা ধন্যি মেয়ে। সব ছবিতেই উত্তমের পাশে ছবির পর্দার যেন সাবিত্রীময়।

উত্তম-সুচিত্রা, উত্তম-সুপ্রিয়। কোন জুটি বাংলার দর্শকদের সবচেয়ে প্রিয়? প্রশ্নটা বেশ কঠিন তাই না! আর যদি এই তালিকায় যুক্ত হয় উত্তম-সাবিত্রীর নাম, তাহলে? পছন্দ করাটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা, উত্তম যে নায়িকার সঙ্গেই জুটি বেঁধেছেন, সেই জুটিই সুপারহিট। তবে ফিল্ম সমালোচকরা মনে করেন, উত্তম-সাবিত্রীর জুটির মধ্যে স্টারডম ফ্যাক্টর থেকেও বেশি ছিল আত্মিক যোগাযোগ। অর্থাৎ সিনেমার পর্দায় যখনই তাঁরা একসঙ্গে জুটি বেঁধে আসতেন, কখনই মনে হত না, উত্তম-সবিত্রী অভিনয় করছেন। মনে হত যেন পুরোটাই বাস্তব। তা ভ্রান্তবিলাস, কাল তুমি আলেয়া, নিশীপদ্ম কিংবা গলি থেকে রাজপথ বা ধন্যি মেয়ে। সব ছবিতেই উত্তমের পাশে ছবির পর্দার যেন সাবিত্রীময়।
১৯৭১ সালে মুক্তি পায় সাবিত্রী, উত্তম, জয়া বচ্চন (তখন জয়া ভাদুরী) অভিনীত ছবি ধন্যি মেয়ে। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত এই ছবি সেই সময় বক্স অফিসে হইচই ফেলে দিয়েছিল। আজও টেলিভিশনের পর্দায় এই ছবি দেখানো হলে, ড্রয়িং রুমে ভিড় জমে।
এই ছবির শুটিংয়েই এমন একটি ঘটনা ঘটে, যা আজও ভুলতে পারেননি সাবিত্রী চট্টোপাধ্য়ায়। উত্তম কুমার আচরণ দেখে তো হতবাক হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
ঠিক কী ঘটেছিল?
শুটিং চলছিল ধন্যি মেয়ের একটি দৃশ্য। যেখানে স্বপ্নে মহাদেবের সঙ্গে ফুটবল খেলছেন উত্তম কুমার। হঠাৎই বল পায়ে নিয়ে জোরে লাথি! আর সেই লাথিই গিয়ে পড়ল সাবিত্রীর কোমরে। ধন্যি মেয়ে ছবির এই দৃশ্যে মোটামুটি সবার মনে রয়েছে। এই দৃশ্য়ের শুটিংয়ের সময়ই সত্য়িই সাবিত্রীকে লাথি মেরেছিলেন উত্তম। উত্তমের লাথিতে কোমরে আঘাতও পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। উত্তম অবশ্য পড়ে লজ্জিত ছিলেন এমন করায়। আর সাবিত্রী, উত্তমকে বলেছিলেন, অভিনয়ের সময় চরিত্রের মধ্যে এতটা কেন ঢুকে যান আপনি?
পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইউটিউব চ্যানেল Unbackshow- এ সবটা বললেন অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
