উত্তম কাছে আসতেই রক্তরাক্তি কাণ্ড ঘটালেন সাবিত্রী! মহানায়ককে দেখে কেন এমন করেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী
বাংলা ভাগের পর বাবা ও দিদির হাত ধরে কলকাতায় চলে আসেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। চোখের সামনে এত বড় শহরকে দেখে প্রথমে একটু থতমতও খেয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

বাংলা ভাগের পর বাবা ও দিদির হাত ধরে কলকাতায় চলে আসেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। চোখের সামনে এত বড় শহরকে দেখে প্রথমে একটু থতমতও খেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কখনও স্বপ্নেও ভাবেননি, এই শহরই তাঁকে ফিরিয়ে দেবে প্রচুর ভালোবাসা। তিনি আন্দাজও করতে পারেননি যে এই শহরের চোখের তারা হয়েই থেকে যাবেন সাবিত্রী।
নাটকের মঞ্চেই অভিনয় শুরু করেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্য়ায়। আর সেই নাটকই দেখতে এসেছিলেন উত্তম কুমার। যে উত্তম কুমারের অন্ধভক্ত ছিলেন কিশোরী সাবিত্রী, সেই উত্তম একেবারেই চোখের সামনে। তবে এখানেই শেষ নয়। নাটক দেখে সাবিত্রীর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে যান উত্তম। এমনকী, নাটক শেষে গ্রিনরুমে অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখাও করতে যান। আর সেখানেই বিপত্তি!
এক সাক্ষাৎকারে সাবিত্রী জানিয়ে ছিলেন, প্রথম থেকেই উত্তমকে পছন্দ ছিল আমার। সেই পছন্দের মানুষ ও নায়ক যদি হঠাৎ করে সামনে চলে আসে, তাহলেই একটু চমকেই যাব। আর গ্রিনরুমে ওকে সামনে দেখে পুরো হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কথা বলার জন্য কাছে যেতে গিয়েই বিপদ ঘটে। পায়ের সামনে একটা ট্রাঙ্ক রাখাছিল। সেটাতেই হোচট খাই। পা দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করেছিল। তবে তিনি কিন্তু বিষয়টা সামলে নিয়েছিলেন।
সাবিত্রী জানিয়ে ছিলেন, এই নাটক দেখেই উত্তম আমাকে বলেছিলেন তাঁদের নাট্য দলের যোগ দেওয়ার জন্য। সত্যি সেদিনটা আজও ভোলার নয়।





