ইন্ডাস্ট্রিতে দীপঙ্কর দে ও দোলন রায়ের প্রেম নিয়ে কথা হয় আজও। অনেকেই তাঁদের প্রেমকে আখ্যা দিয়েছেন ঐতিহাসিক। তবে প্রেমের শুরুটা যে সুন্দর ভাবে হয়েছিল এমনটা ভাবাও ভুল। দুজনের বয়সের ফারাক প্রায় ২৪ বছর। এরই মধ্যে দীপঙ্কর দে আবার ছিলেন বিবাহিত। তাঁর ছেলেমেয়েও ছিল। এমতাবস্থায় নবাগতা এক অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সুনামের চেয়ে দুর্নামই হয়েছিল বেশি। নানা ধরনের রগরগে গসিপে সে সময় ভরেছিল প্রেজ থ্রি-য়ের পাতা। মেয়ে দীপঙ্করের সঙ্গে প্রেম করছেন শুনে কী বলেছিলেন দোলনের মা? বহু বছর পর এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছেন দোলন। জানিয়েছেন প্রথমটায় নাকি মেয়ের এই সম্পর্কে বেজায় আপত্তি ছিল মায়ের। কিন্তু মেয়ের ভালবাসার কাছে হার মানে পরিবারের আপত্তিও। মেনে নেয় পরিবার, মেনে নেয় সমাজও। তবে সবটা সহজ ছিল না।
কোথা থেকে আলাপ হয়েছিল দু’জনের? দোলনের সঙ্গে যখন দীপঙ্করের আলাপ হয় তখন দীপঙ্করের মেয়ের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। রবি ঘোষের দলে নাটক করতেন দোলন। সেখান থেকেই আলাপ হয় দীপঙ্কর দে’র সঙ্গে। সম্পর্কের সূত্রপাত ১৯৯৭ সালে। কাজের জন্য দুজনেই গিয়েছিলেন বাইরে। সেখান থেকেই হঠাৎ হয়ে যায় প্রেম। সেই প্রেমই পরিণতি পায় তিন বছর আগে। তাঁদের সম্পর্ককে, ভালবাসাকে যাতে সমাজ বাঁকা চোখে না দেখে সে কারণে ২০২০ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। যদিও সে সময়ও কম ট্রোলিং হয়নি। চলেছিল লাগাতার কটাক্ষ। যদিও সে সবকে পাত্তা না দিয়ে দুজনে বাঁচেন দুজনের মতো, বাঁচেন নিজের শর্তে।
বর্তমানে কাজের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন দীপঙ্কর দে। মাঝেমধ্যে ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা যায়। যোগদান করেছিলেন তৃণমূলেও। অন্যদিকে দোলন রায় যদিও চুটিয়ে কাজ করছেন। এই মুহূর্তে হাতে দুইটি ধারাবাহিক রয়েছে তাঁর। সঙ্গে রয়েছে প্রেম। বাকি জীবনটা দুজনে মিলে একসঙ্গে কাটানোর অভিপ্রায়।