
কাপুর পরিবারের সন্তান রণবীর কাপুর। বরাবরই তিনি নিজের জীবনটা নিজের ছন্দেই কাটাতে বেশি পছন্দ করেন। পছন্দ করেন প্রতিটা পদে পদে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে। হয়তো বিশ্বাসত্ব কারও সঙ্গে পরামর্শ করে নেন ঠিকই, তবে কারও কথায় চলার পাত্র তিনি নন। রণবীরের কথায় তাঁর জীবনটা অন্য কেউ সাজিয়ে দিতে পারে না। তিনি যেমন তিনি ঠিক সকলের সামনে তেমনটাই থাকতে পছন্দ করেন। আর ঠিক এই কারণেই তাঁর জীবনে কখনও কোনও পিআর (PR) অর্থাৎ পাবলিক রিলেশন অফিসারের প্রয়োজন পড়েনি। পড়েনি, এই কারণেই, তিনি নিজের কাজ নিজে দস্তুর মতো গুছিয়ে নিতে পারেন। এক সাক্ষাৎ করে রণবীর কাপুরকে এমনটাই দাবি করতে শোনা গিয়েছিল।
সেখানে সেলিব্রিটি মানেই সোশ্যাল মিডিয়ার ঘনঘটা, পোস্ট, লাইক-শেয়ারের লড়াই, সেখানে রণবীর নিজেকে এই দৌড় থেকে সরিয়ে রেখেছেন। আর সেই সূত্র ধরেই সিনেপাড়ার অন্দরের এক অন্ধকার অধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি। যেখানে রণবীর কাপুর বলেছিলেন, “যখনই একজন পিআর-কে রাখা হয় তখনই এক অভিনেতার মৃত্যু ঘটে। কারণ তাঁরা অভিনেতাদের জীবনটা সাজিয়ে দেন। যেমনটা দেখানো হয়, তেমনটাই সকলে দেখেন। তেমনভাবে অভিনেতাকে চিন্তে শুরু করে। আর তখনই এক অভিনেতা ব্যক্তি ‘আমি’কে হারিয়ে ফেলে। যেমন বিভিন্ন ইভেন্টে পরিকল্পনা করে হাজির হওয়া। যেটা পিআরদের কথায় করে থাকেন অভিনেতারা, সেটা তো তাঁদের ব্যক্তি সিদ্ধান্ত থাকে না। অথচ দর্শকেরা দেখলেন, তিনি এই দান খয়রাতের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আসলে তিনি এমনটা নয়। তাঁকে এমনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। আমি যেমন আমি সকলের সামনে তেমনই থাকতে চাই। একজন অভিনেতার নিজের বুদ্ধির জোরে এগিয়ে যাওয়ায় কাম্য, তাতে তাঁর স্ব-স্বভাব বজায় থাকে। কিন্তু অন্য কারও বুদ্ধিতে চলতে শুরু করা মানেই সবটা শেষ।” আর ঠিক এই কারণেই রণবীর কাপুর কোনওদিন নিজে এই প্রকার পদক্ষেপ করেননি। PR রাখা সেই কারণেই পছন্দ করেন না তিনি। রাখেনও না।