প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে ধুমধাম করে পালিত হয় ক্রিসমাস ডে। প্রতিটি উত্সবের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে আলাদা অনুভূতি, আলাদা উত্তেজনা। এই উত্সবের মরসুমে যোগ হয় বিশাল একটি খাদ্যতালিকা। ক্রিসমাস মানেই কেকের সম্ভার, হরেক রকমের ডেজার্টের গন্ধ। মোট কথা বড়দিনে পশ্চিমী দেশগুলির পাশাপাশি ভারতেও ঘরে ঘরে এলাহি ব্যবস্থা তৈরি হয়। আর তার মধ্যে কোনগুলি স্বাস্থ্যকর আর কোনগুলি অস্বাস্থ্যকর, তা অনেকেই জানেন না। উত্সবের মরসুমে যে সব অস্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তা জেনে রাখা দরকার।
অস্বাস্থ্যকর ক্রিসমাস খাবার
এগনগ- ঐতিহ্যবাহী এই রেসিপিটি দুধ, চিনি, ক্রিম ও ডিম দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। এটি একটি জনপ্রিয় ক্রিসমাস খাবার, যা গরম বা ঠান্ডা অবস্থায় খাওয়া হয়। এই সুস্বাদু পানীয়টি খেতে দুরন্তহলেও উচ্চ ক্যালোরি ও চিনির পরিমাণ অত্যাধিক হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়।
কোটেড ফ্রুটস- বাজার থেকে চকচকে ফল কিনলেই তা সে স্বাস্থ্যকর হবে তার কোনও অর্থ নেই।তাজা ফলের উপর প্রলেপ দেওয়া হয়। তবে ক্রিসমাসের সময় তাজা ফলের সঙ্গে চকোলেট, পাউডারড সুগারের প্রলেপ দেওয়া একটি ঐতিহ্যবাহী রীতি। ক্যারামেল আপেল, চকোলেট চেরি-র মতো জনপ্রিয় খাবারের প্রলেপ দেওয়া থাকে। উত্সবের সময় স্ন্যাকস হিসেবে এই জনপ্রিয় খাবার সবসময় এড়িয়ে যাবেন। কারণ এতে সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজের সংমিশ্রণ থাকে। যা ওজন কমানো তো দূর, পেটে আরও বাড়তি মেদ জমবে তাড়াতাড়ি।
ক্যান্ডিড ইয়ামস- ক্যারামেলাইজড ও মিষ্টি জাতীয় এই পদটি দারুণ জনপ্রিয়। ইয়ামগুলি স্বাস্থ্যকর ভেষজ দিয়ে তৈরি হলেও প্রচুর পরিমাণে চিনি ও বাটার থাকায় এতে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি, চর্বি ও সুগার থাকে। ফলে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক ও ওজন কমানোর পরিকল্পনা ব্যহত করতে পারে।
ক্যান্ডি কেন- ক্রিসমাস উত্সবে কুকিজ, ক্যান্ডি ক্যান মাস্ট। ক্যান্ডি ক্যান ক্রিসমাসের সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পদ। পুদিনা থেকে স্ট্রবেরি, বিভিন্নস্বাদের এই মিষ্টিজাতীয় খাবার পাওয়া যায়। যদি ফিটনেসের দিতে খেয়াল থাকে, তাহলে এই জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলুন।
প্রসেসড ক্রিসমাস কেক– ক্রিসমাস মানেই কেক। আর সেই উপলক্ষ্যে ঘরে ঘরে তো বটেই, বিভিন্ন দোকানেও ক্রিসমাস কেক বিক্রি করা হয়। এই সময় বাড়িতে কেক তৈরি করার কোনও চল তেমন নেই। কেক ছাড়া বড়দিন সম্পন্ন হয় না। তবে এই সময় সুস্থ থাকতে ও বাড়তি ওজন যাতে না বাড়ে তার জন্য প্রসেসড ক্রিসমাস কেক না খাওয়াই ভাল। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি, কৃত্রিম রঙ, যা শরীরের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত।
আরও পড়ুন: Winter Care Tips: শীতকালে শরীর সুস্থ রাখতে আয়ুর্বেদের উপর ভরসা রাখুন! মিলবে দারুণ সুফল