অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া—এই সব কিছুই প্রভাব ফেলে কিডনির উপর। অনেক সময় জল কম খেলেও কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। তবে, এখন যে হারে গরম পড়ছে, তাতে জল না খেলে আপনারই ক্ষতি। এই বিরক্তিকর গরমে শরীর থেকে ঘাম বেরিয়ে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে তরলের ঘাটতি। এই সময় তলপেটে ব্যথা, মূত্রত্যাগের সময় জ্বালাভাব—এসব উপসর্গের দিকে নজর দেওয়া ভীষণ জরুরি। এগুলোই জানান দেয় যে কিডনিতে পাথর জমেছে কি না। তাছাড়া শরীরের উপর অনিয়ম করলেও কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। পাথরের আকার বড় হলে অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনও উপায় নেই। তাই পাথর যাতে না হয়, তার জন্য ডায়েটে কী ধরনের পরিবর্তন আনবেন, দেখে নিন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান: এই গরমে যত বেশি জল খাবেন, আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ভাল। কিডনিও ভাল থাকবে। তাছাড়া পাথরের আকার ছোট হলে তা মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।
প্রোটিন রাখুন ডায়েটে: মাছ, মাংস, ডিম হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। কিন্তু এই গরমে যত হালকা খাবার খাবেন, ততই স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। তাই এক্ষেত্রে আপনি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উপর ভরসা রাখতে পারেন। যেমন বিভিন্ন ধরনের ডাল, বাদাম, বীজ ও দুগ্ধজাত পণ্য।
নুনের পরিমাণ কমান: এই গরমে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে নুন-চিনির জল খাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু আলাদা করে খাবার পাতে নুন না খাওয়াই ভাল। যে সব ভাজাভুজি ও ফাঙ্ক ফুডে নুন থাকে, সেগুলোও এড়িয়ে চলুন। বেশি নুন খেলে দেহে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাবে, যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
ক্যালশিয়াম অপরিহার্য: হাড় ও দাঁতের পাশাপাশি কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ক্যালশিয়াম। দেহে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি থাকলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। তাই ডায়েটে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। দুধ, দই বেশি করে খান।
অক্সালেটযুক্ত খাবার জরুরি: অক্সালেটযুক্ত খাবার কিডনিতে পাথর তৈরি হতে দেয় না। পালং শাক, বিটরুট, বিভিন্ন ধরনের বাদামে অক্সালেট পাওয়া যায়। যদিও এই গরমে ভাল মানের পালং শাক, বিটরুট পাবেন না। এক্ষেত্রে আপনি লেবুজাতীয় ফল, আঙুর ইত্যাদি খেতে পারেন।