পুজোর সময় চলে লাগামহীন খাওয়া-দাওয়া। পোলাও, বিরিয়ানি থেকে চাউমিন, পিৎজা কিছুই বাদ থাকে না। তার সঙ্গে রাত জেগে ঠাকুর দেখাও রয়েছে। কিন্তু আনন্দের মাঝে অ্যাসিডিটি বাধা হয়ে দানড়ালেই মুশকিল। পুজোর চারদিন যে অনিয়ম হয়, তাতে হজম স্বাস্থ্যের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। এই ক’দিন কারও সকাল হয় দুপুর বারোটায়, আবার কেউ ডিনার করেন রাত সাড়ে তিনটেয়। তার সঙ্গে বাইরের খাবারই বেশি খাওয়া হয়। এসব সমস্যাই মূলত গ্যাস-অম্বলের কারণ ডেকে আনে।
উৎসবের মাঝে একদিনও গ্যাস-অম্বলে ভোগার অর্থ আনন্দ একটু কমে যাওয়া। আর সেটা হতে দেওয়া যাবে না। তাই গ্যাস-অম্বলকে রাতারাতি মুক্তি দেবে এমন উপায় জেনে রাখা দরকার। তাছাড়া এই পুজো চলাকালীন ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করতে কারও ভাল লাগে না। আর যখন গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ঘরোয়া টোটকায় সামলে দেওয়া যায়, তাহলে অ্যান্টাসিডের দরকার কী।
গ্যাস-অম্বল হলে চোঁয়া ঢেকুর দিতে থাকে। গ্যাসের কারণে পেট ফুলে যায়। বুক ও গলা জ্বালা হয়। অনেক সময় বুকে ব্যথাও হয়। পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। রাস্তার খাবারের কারণে ডায়ারিয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। এই অবস্থায় থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই পেতে ঘরোয়া টোটকা দারুণ উপযোগী।
অ্যালোভেরা জুস
অ্যালোভেরা ওষুধিগুণে ভরপুর। বিশেষত ত্বকের সমস্যা কমাতে এবং দাগছোপ দূর করতে কাজে আসে অ্যালোভেরা। কিন্তু অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতেও কার্যকর অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্ট-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে এবং শক্তিশালী ভিটামিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এসব উপাদান অ্যাসিডিটি কমাতে এবং পেটকে শান্ত করতে সাহায্য করে। তাজা অ্যালোভেরা জেল নিন। জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। দিনে ২-৩বার অ্যালোভেরা জুস পান করলে আপনি গ্যাস-অম্বল থেকে মুক্তি পাবেন।
মশলার চা
বেশ কিছু মশলা রয়েছে, যা বুক জ্বালার কারণ হতে পারে। আবার এমনও কিছু মশলা রয়েছে, যা আপনাকে তাৎক্ষণা গ্যাস-অম্বল থেকে মুক্তি দিতে পারে। এমনই উপকারী মশলা হল জিরে, এলাচ, দারুচিনি ও আদা গুঁড়ো। এসব মশলার মধ্যে প্রদাহবিরোধী উপাদান রয়েছে। বিশেষত জিরে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সবচেয়ে বেশি উপকারী। এক গ্লাস জলে এই সমস্ত মশলা ভাল করে ফুটিয়ে নিন। তারপর এই জল ঠান্ডা করে পান করুন। এই দুই টোটকায় এক নিমেষে অ্যাসিডিটি কমে যাবে।