আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁদের মুখে-হাতে-পায়ে সাদা রঙের ছোপ থাকে। কিছু সময় পর থেকে সেই সাদা দাগ ছোপে পরিবর্তন আসে। ধীরে ধীরে পুরো শরীরেই সেই সাদা দাগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরও কিছুতেই সাদা দাগ দূর হচ্ছিল না। আর এই শ্বেতি বা শ্বেত কুষ্ঠ দূরকরতে মানুষ অনেক রকম চিকিৎসা করেন তবে শেষ পর্যন্ত কোনও কাজই হয় না। কেন এই সাদা দাগ বা ভিটিলিগো ( Vitilligo) হয়?
আসলে এই সাদা কুষ্ঠ হল অটোইমিউন একটি অবস্থা। যে খানে ইমিউন সিস্টেম ত্বকের রঙ্গত তৈরি কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ তাই দিয়েছেন বিশেষ টিপস। মুলতানি হলুদ আর সরষের তেলই এই চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য সেরা। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ত্বকের চিকিৎসায় তা খুবই ভাল কাজ করে। সরষের তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। আর হলুদের মধ্যে আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। ১ চামচ হলুদ আর ২ চামচ সরষের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে সেই সাদা দাগের উপর লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট এই হলুদের মিশ্রণ রেখে তারপর ধুয়ে দিন। রোজ এই টোটকা ব্যবহার করতে পারেন।
ঘি আর গোলমরিচের গুঁড়ো এই শ্বেতির চিকিৎসায় খুব ভাল কাজ করে। এর পাশাপাশি রোজ ঘি আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। এই শ্বেতি হল অটোইমিউন ডিজিজ। আর তাই রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে কিছু অভ্যাস রপ্ত করতেই হবে। এছাড়াও আরও যা কিছু করতে পারেন-
হলুদের মত আদার মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। শুকনো আদা রোগ রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত ভাবে ফেলে উপকারও পাওয়া যায়।
ভিটিলিগো ডায়েটে যা কিছু অবশ্যই রাখবেন-
তামার পাত্রে জল খান
গাজর, মুসুর ডাল, অঙ্কুরিত ছোলা-মুগ, বাদাম খান
রোজ নিমপাতা জলে ফুটিয়ে স্নান করতে হবে।
এছাড়াও যা কিছু খাবেন না
টক ফল খাওয়া চলবে না
দই, লস্যি নয়
ময়দা, বিউলির ডাল খাবেন না
মাংস, মাছ, জাঙ্কফুড খুব বেশি মোটেই খাওয়া যাবে না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।