করোনাভাইরাস এখনও আমাদের ছেড়ে যায়নি, তারমধ্যে আরও একটি ভাইরাসের চোখ রাঙানিতে ফের বিধ্বস্ত ছোট থেকে বড়। শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। অ্যাডিনোভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর। নয়া ভাইরাসের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় ইতোমধ্যে রোগের লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তিনদিনের বেশি জ্বর, কাশি, নাক থেকে ক্রমাগত জল পড়া, গলা ব্যথা, খুশখুশ করা, জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। এসব লক্ষণগুলি থাকলে অবিলম্বে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে পারেন। এছাড়া আবহাওয়ার খামখেয়ালিতেও গলা ব্যথা, কাশি-জ্বর-সর্দিতে ভুগতে শুরু করেছে। সঙ্গে জ্বালাভাব, চুলকানির মতো সমস্যাও শুরু হয়। তবে গলা ব্যথার মতো সাধারণ কিন্তু বেশ অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ট্যাবলেট খাওয়ার আগে ঘরোয়া প্রতিকারগুলি মেনে চলুন।
গলায় খুশখুশ করলে বা ব্যথা করলে কথা বলতে, ঢোক গিলতে, খেতে অসুবিধা হতে পারে। তাতে বেশ অসুস্থ বোধ করতে পারেন। সামান্য শরীর খারাপ হলেই অ্যান্টি-বায়োটিক মুড়িমুড়কির মতো খেয়ে নেবেন না। ঘরোয়া প্রতিকারেই এই গুরুতব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কী কী কারণে গল্যা ব্যথা হতে পারে, তা জেনে নিন আগে…
গলাব্যথার কারণগুলি কী কী? তা আগে জেনে নিন…
– দূষণ,
– খুব গরম খাবার খাওয়া হলে,
– ঝাল ও মলশাদার খাবার,
– পোর্টাল অ্যাকিউট অ্যাসিড রিফ্লাক্স
– বিভিন্ন রকম সংক্রমণ
– সামান্য আলসার
– নির্দিষ্ট খাবারের এলার্জি
মধু: গলার ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে মধুকে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে দারুণ কার্যকরী। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, গলার ঝিল্লিতে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম। রোজ ২ চামচ মধু খেতে পারেন বা গরম ভেষজ চায়ে মিশিয়ে মধু পান করতে পারেন।
হালকা গরম জল দিয়ে গার্গল করুন: এক কাপ হালকা গরম জলে নুন মিশিয়ে দিন দুবার করে গার্গল করতে পারেন। গলা ব্যাথা বা খুশখুশ করলে এই পদ্ধতি আপনি যে কোনও সময়েই করতে পারেন। এতে কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। এতে গলায় আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলি ধ্বংস হয় দ্রুত। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে ও সুস্থ বোধ করার জন্য সারাদিনে বেশি করে জল পান করুন।
ঠান্ডা দুধ: পেট ও অন্ত্রের ক্র্যাম্প বন্ধ করতে আপনি এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করতে পারেন। দুধ ইলেক্ট্রোলাইট ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, যা ডিহাইড্রেশন ও হজমের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। সেজন্য ঠাণ্ডা দুধ গলা ব্যথা, চুলকানি ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পিপারমিন্ট: ভেষজ উপাদান হিসেবে পুদিনায় অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে যা মাড়ির সমস্যার মূল কারণ। অম্বল ও বুকে চুলকানি শুধুমাত্র এই কারণে হতে পারে। পেপারমিন্ট পটাসিয়াম অ্যাসিডের পরিমাণ কমাতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
হালকা খাবার খান: হালকা খাবার অন্ত্রের প্রদাহ উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। ডিমের সাদা অংশ, দই, আলু, ওটস জাতীয় খাবার খান। ভেষজ রস, স্যুপ, ভেষজ স্মুদি এবং নন-ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করতে পারেন। মধু দিয়ে গরম চা সাহায্য করতে পারে। গলায় যদি মারাত্মক ব্যথা বাড়ে তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পারমর্শ নিতে পারেন।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)