গরমের অন্যতম জনপ্রিয় ফল কাঁঠাল। এই কাঁঠাল স্বাদ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য জনপ্রিয় হলেও কাঁঠালের বীজের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেরই ধারনা নেই বললেই চলে। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেখানে আপনি কাঁঠালের বীজকে ব্যবহার করতে পারেন। তারই সাথে রয়েছে এই কাঁঠালের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাহলে আসুন জানা যাক, কাঁঠালের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে।
প্রথমেই যে বিষয়টা জানার তা হল এই কাঁঠালের বীজের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। কাঁঠালের বীজের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন এ, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে, একটি কাঁঠালের বীজ আপনার শরীরে কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রায় ১০০ গ্রামের একটি বীজে চার গ্রাম প্রোটিন এবং জিরো ফ্যাট রয়েছে।
কাঁঠালের বীজের মধ্যে থাকা এই প্রোটিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই প্রোটিনের কারণে মাংসপেশীও মজবুত হয়। সুতরাং মাংসপেশীকে উন্নত করতে সাপ্লিমেন্টের বদলে কাঁঠালের বীজ খেতে পারেন।
বদ হজমের সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই দেয় কাঁঠালের বীজ। কাঁঠালের বীজের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে তাই এটি কোলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কাঁঠালের বীজকে শুকনো করে গুঁড়িয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন।
এমনকি কাঁঠালের বীজে থাকা এই ফাইবার রক্ত ধমণী থেকে কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়, যার ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা বজায় থাকে। সুতরাং, আপনি যদি ডায়বেটিসের রোগী হন, তাহলে কাঁঠালের বীজকে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। একই সাথে কাঁঠালের বীজের মধ্যে আয়রন রয়েছে। এই আয়রন রক্তাল্পতা এবং যে কোনও ধরণের রক্ত জনিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে।
কাঁঠালের বীজের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কাঁঠালের বীজ ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকেও উন্নত করতে সাহায্য করে। কাঁঠালের বীজের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কুঁচকানো ভাব, দাগ ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে এবং প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ কাঁঠালের বীজ চুলের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
কিন্তু কাঁঠালের বীজকে খাবেন কীভাবে সেটাও জানা খুব জরুরি। কাঁঠালের বীজকে স্যালাড হিসাবে খেতে পারেন। কাঁঠালের বীজ দিয়ে স্মুদি বা মিল্কশেক বানিয়ে পান করতে পারেন। কাঁঠালের বীজকে গুঁড়ো করে যে কোনও খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। সুতরাং সুস্থ ও ভাল থাকার জন্য এখনই কাঁঠালের বীজকে আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন।
আরও পড়ুন: টমেটোকে কেন রাখবেন আপনার খাদ্য তালিকায়?