পিরিয়ড মিস হল মানেই যে আপনি প্রেগন্যান্ট, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু আপনি যদি ফ্যামিলি প্ল্যানিং করেন, নিয়মিত যৌন মিলনে লিপ্ত হন, সেক্ষেত্রে পিরিয়ড মিস হলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। কিন্তু সবসময় যে ক্লিনিকে গিয়েই প্রেগন্যান্সির পরীক্ষা করাতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। বাড়িতেই হোম টেস্ট কিট কিনে আপনি অন্তঃসত্ত্বা কিনা তা যাচাই করতে পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হল পিরিয়ড মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাবেন এবং কীভাবে করাবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ওষুধের দোকানে সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। সেটা কিনে আনলেই হবে। কিন্তু যে দিন পিরিয়ড হওয়ার কথা ছিল, সে দিন যদি না হয়, তারপরেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করবেন না। এতে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না। পিরিয়ড মিস হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন।
প্রেগন্যান্সি টেস্টে এইচসিজি নামের একটি হরমোন পরীক্ষা করা হয়। একমাত্র অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই মহিলার ইউরিনে এই হরমোনের মাত্রা বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। জরায়ুতে নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রতিস্থাপিত হওয়ার পরই দেহে এইচসিজি হরমোনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই কারণে পিরিয়ড মিস হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করতে বলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু আজকাল অনেকেরই প্রতি মাসে ঠিকমতো ঋতুস্রাব হয় না। সেক্ষেত্রে যৌন মিলনের ২১ দিন পরে আপনি বাড়িতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে পারেন।
বাড়িতে যখনই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করবেন, চেষ্টা করুন সকালে ঘুম থেকে উঠেই এই কাজটি করতে। সকালের ইউরিনে এইচসিজি হরমোন ঠিকঠাক মাত্রায় পাওয়া যায়। একটি কাপে ইউরিন সংগ্রহ করুন। এরপর ড্রপারের সাহায্যে ২-৩ ফোঁটা প্রস্রাব কিটের উপর দিন। এরপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর দেখবেন কিটে দাগ দেখা যাচ্ছে কি না। দুটি দাগই যদি গাঢ় হয়, বুঝবেন আপনি প্রেগন্যান্ট। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে বাড়িতে করা প্রেগন্যান্সি টেস্টের ফলাফল সঠিক হয়।