Digital Machine: বাড়িতেই মাপছেন প্রেসার, সুগার! কিন্তু ডিজিটাল মেশিন কতটা নির্ভুল, কী করে বুঝবেন?

Aug 14, 2024 | 11:30 AM

Digital Machine: শরীরের ভিতরে কোথায় কী কম-বেশি, কোনখানে কতটুকু খামতি, নিমেষে আপনার হাতের মুঠোয়। কিন্তু ডিজিটাল এই যন্ত্রগুলিতে পাওয়া রিপোর্টকার্ড আদৌ কি সম্পূর্ণ নির্ভুল? কী করে বুঝবেন?

Digital Machine: বাড়িতেই মাপছেন প্রেসার, সুগার! কিন্তু ডিজিটাল মেশিন কতটা নির্ভুল, কী করে বুঝবেন?

Follow Us

এখন ডিজিটাইলাইজেশনের যুগ। তা সেখান থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রই বা আর বাদ যায় কেন? হঠাৎ দেখলেন, মাথাটা ঘুরছে, চোখের সামনে কালো হয়ে আসছে, সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতেই থাকা হাতের কাছের ডিজিটাল প্রেসার মেশিনটি নিয়ে টুক করে একবার ব্লাড প্রেসারটা দেখে নিলেন। বা দেখলেন শরীরটা ঝিমঝিম করতে শুরু করেছে, মাথাটাও ঘুরছে তুক করে একবার বাড়ির ডিজিটাল সুগার মাপার যন্ত্র লাগিয়ে দেখলেন রক্তের শর্করার মাত্রা কমে গিয়েছে। তাই তৎক্ষণাৎ একটু চিনি খেয়ে নিতেই সব ঠিকঠাক।

শুধু সুগার বা প্রেসার নয়, জ্বর, পালস, অক্সিজেনের মাত্রা সবই নিমেষে দেখে নিতে পারেন বাড়িতেই। আবার ইদানিং তো মোবাইল বা স্মার্ট ওয়াচে মেপে নেওয়া যায় রক্তচাপ, পালস, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, কতটুকু ক্যালোরি ক্ষয় হল, কত পা দিনে হাঁটলেন সবটুকু। অর্থাৎ শরীরের ভিতরে কোথায় কী কম-বেশি, কোনখানে কতটুকু খামতি, নিমেষে আপনার হাতের মুঠোয়। কিন্তু ডিজিটাল এই যন্ত্রগুলিতে পাওয়া রিপোর্টকার্ড আদৌ কি সম্পূর্ণ নির্ভুল? কী করে বুঝবেন?

ব্লাড প্রেশারের ক্ষেত্রে: সবচেয়ে সহজ উপায়ে ব্লাড প্রেশার মাপা যায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বাড়িতে, বেশ কিছু ওষুধের দোকানে এই ধরনের যন্ত্র প্রেশার মাপার জন্য রাখা হয়। তবে এই যন্ত্রের মাপ সম্পূর্ণ নিখুঁত ও নির্ভুল নয়। অনেক সময় কিছুটা কম-বেশি দেখায়। তাই এই যন্ত্রের ব্যবহারকে খুঁতহীন করতে ‘ক্যালিব্রেশন’ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। মাসে দু’বার বা তিনবার মার্কারি বা অ্যানালগ পদ্ধতিতে ব্লাড প্রেশার মাপার পর সঙ্গে সঙ্গেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে তা ফের মাপুন। দেখে নিন কতটা ফারাক হচ্ছে। যদি দেখা যায় মার্কারি বা অ্যানালগের চেয়ে ডিজিটাল যন্ত্রটির পরিমাপ ৫ বা ১০ বেশি অথবা কম হচ্ছে, তাহলে প্রতিবার ব্লাড প্রেশার মাপার সময় এই হিসেব মাথায় রেখেই তা মাপতে হবে। যদি দেখা যায়, অনেকটা তফাত রয়েছে তাহলে সেই ডিজিটাল যন্ত্রটি বদলে ফেলাই ভাল।

জ্বরের ক্ষেত্রে: জ্বর এলে প্রথমে কোনও মার্কারি থার্মোমিটারে জ্বর মেপে তারপর সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে মাপতে হবে। কতটা বেশি-কম হচ্ছে সেই হিসেব নিন। সেই হিসাব ধরেই অঙ্ক কষুন।

ব্লাড সুগারের ক্ষেত্রে: ডিজিটাল গ্লুকোমিটার দিয়ে ব্লাড সুগার মাপা হয় অনেক জায়গায়। এখানে যেহেতু এনজাইমেটিক পদ্ধতিতে মাপা হয় না, তাই মাপার অঙ্ক নিখুঁত হয় না। এক্ষেত্রেও বেশি বা কম মাপ আসে। ক্যালিব্রেশন পদ্ধতি অবলম্বন করলে নিখুঁত পরিমাপ মেলে। ফাস্টিং ও পিপি পরিমাপের জন্য যে সময়ে পরীক্ষাগারে রক্ত দিলেন, তারপরেই ডিজিটাল গ্লুকোমিটারেও একটি পরীক্ষা করে রাখুন। মাপটি লিখে রাখুন কোথাও। ল্যাবের রিপোর্ট এলে মিলিয়ে দেখে নেবেন কত কম বা বেশি থাকছে।

Next Article