সকালে মুচমুচে করে আলু ভেজে ছিলেন। অনেকটা তেল রয়েছে কড়াইতে। তেল নষ্ট করার কোনও বালাই না। সন্ধেবেলা ওই তেলেই বেগুন ভেজে ফেললেন। কিংবা ওই তেল তুলে রাখলেন। পরদিন সকালে ওই তেলের অন্য কিছু ভেজে নিলেন। এমন ঘটনা মধ্যবিত্তের রান্নাঘরে প্রায়শই ঘটে। তেলের খরচ বাঁচাতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করে ফেলছেন না তো? একবার যে তেলে রান্না হয়ে গিয়েছে, সেই তেল পুনরায় ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে নিশ্চুপে বাড়ছে রোগের আশঙ্কা।
ক্যানসার: একই তেলে বারবার রান্না করলে এতে ফ্রি র্যাডিকেল তৈরি হয়, যা দেহে প্রদাহ তৈরি করে এবং রোগ ডেকে আনে। এই ফ্রি র্যাডিকেল শরীরের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ফ্রি র্যাডিকেল কার্সিনোজেনিকও হয়। অর্থাৎ, এর জেরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
কোলেস্টেরল ও ওবেসিটি: ভাজাভুজি রান্নার সময় তেল উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করা হয়। এই তেল যদি পুনরায় ব্যবহার করেন, এবং সেই তেলে রান্না করা খাবার খান এতে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। এর জেরে ধমনীতে ব্লকেজ তৈরি হয়। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়াও রান্না করা তেল পুনরায় ব্যবহার করলে ওজন বাড়ে। তৈরি হয় ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও।
অ্যাসিডিটি: রান্না করা তেল পুনরায় ব্যবহার করলে সবচেয়ে কমন যে সমস্যা দেখা দেয়, তা হল অ্যাসিডিটি। যে কারণে ভাজাভুজি খাওয়ার পরওই পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়।
যেভাবে এড়াবেন রোগের ঝুঁকি:
বাইরের খাবার প্রায়শই রান্না করা তেল বারবার ব্যবহার হয়। যে কারণে এগরোল, চাউমিন, মোগলাই, ফ্রায়েড চিকেনের মতো খাবারগুলো মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। প্রথমত, এতে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। আর এই ধরনের খাবারগুলো রান্না করার সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেল পুনরায় ব্যবহার হয়। সুতরাং, রোগের ঝুঁকি এড়াতে গেলে বাইরের খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়াতে হবে।
বাড়িতেও রান্না করা তেল বারংবার ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন। ভাজাভুজি রান্না করার সময় কম তেল ব্যবহার করুন। এছাড়া যে সব তেলে ফ্যাটের পরিমাণ কম, সেগুলো ব্যবহার করুন। খাবার প্রথমে সেদ্ধ করে নিন। তারপর তেলে ভাজুন। এতে কম তেল লাগবে। তাছাড়া রান্নায় কম তেল ব্যবহার করলে রোগের ঝুঁকিও কমবে।