Health Tips: স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় সঠিক তেল বেছে নেওয়া কেন জরুরি জানেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Oct 04, 2021 | 12:54 PM

যখন স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রসঙ্গ আসে তখন সঠিক খাবারের সঙ্গে সঠিক তেল নির্বা‌চন করাও জরুরি হয়। কারণ বেশির ভাগ খাবারের ক্ষেত্রেই আমরা তেল ব্যবহার করে থাকি। সটে হোক বা ডিপ ফ্রাই কিংবা গ্রিল, সব ক্ষেত্রেই তেলের প্রয়োজন হয়। এই তেলও শরীরে অন্যান্য খাবারের মতই প্রভাব ফেলে।

Health Tips: স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় সঠিক তেল বেছে নেওয়া কেন জরুরি জানেন?

Follow Us

মূলত এই মহামারির সময় বেশির ভাগ মানুষই স্বাস্থ্যকর জীবনধারার ওপর ফোকাস করছেন। তাছাড়া সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা খুব জরুরি। আর এই স্বাস্থ্যকর জীবনধারার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে খাদ্যাভাস এবং ব্যায়াম। এই দুটি বিষয় কেউ যদি নিয়ম মাফিক মেনে চলেন তাহলে অনেক রোগই দূর হয়ে যেতে পারে।

যখন স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রসঙ্গ আসে তখন সঠিক খাবারের সঙ্গে সঠিক তেল নির্বা‌চন করাও জরুরি হয়। কারণ বেশির ভাগ খাবারের ক্ষেত্রেই আমরা তেল ব্যবহার করে থাকি। সটে হোক বা ডিপ ফ্রাই কিংবা গ্রিল, সব ক্ষেত্রেই তেলের প্রয়োজন হয়। এই তেলও শরীরে অন্যান্য খাবারের মতই প্রভাব ফেলে।

আমরা যে তেল গ্রহণ করি তা মূলত ফ্যাটের উৎস হয়। কিন্তু যদি বেশি পরিমাণ তেল গ্রহণ করা হয় তখন হার্টে‌ তার প্রভাব পড়ে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তেল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি আপনি অত্যধিক পরিমাণে তেল গ্রহণ করেন তখন এলডিএল (ব্যাড) কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা শরীরে বেড়ে যায়। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এই সব শারীরিক কারণে বর্তমানে বাজারে একাধিক হার্ট হেলথি তেল বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু সমস্যা হল, আপনি কীভাবে তাদের মধ্যে সেরা তেলটি বেছে নেবেন।

বাজারে যে সব হার্ট হেলথি তেল পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর তেল হল অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল। কারণ এই তেল জলপাই থেকে তৈরি করা হয় এবং এটি মনোয়ানস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। এছাড়া এই তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা একাধিক রোগকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। অলিভ অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে, ব্যাড অর্থাৎ এলডিএল কোলেস্টেরলকে বৃদ্ধি হতে দেয় না এবং রক্ত চলাচলকে সচল রাখে।

যেহেতু অলিভ অয়েল অন্যান্য তেলের তুলনায় বেশি দামে বাজারে পাওয়া যায়, সেই ক্ষেত্রে আপনি রাইস ব্যান তেলকেও বেছে নিতে পারেন। রাইস ব্যানের মধ্যে ভিটামিন কে, ই এবং পলিয়ানস্যাচুরেটেড ও মনোয়ানস্যাচুরেটেডের মত ফ্যাট রয়েছে যা অলিভ অয়েলেরই শরীরে কার্যকরী প্রভাব ফেলে।

এই তেল দুটি অন্যান্য তেলের তুলনায় কম শোষণ করে এবং লিনোলিক অ্যাসিডের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ধারণ করে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে হৃদযন্ত্র এবং রক্তনালীগুলির রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য পরিচিত। এই তেলে ডিপ ফ্রাই করলেও কোনও ক্ষতি নেই। কারণ উচ্চ তাপমাত্রাতেও ফ্যাটি অ্যাসিড ভেঙে যায় না এবং খাদ্য স্বাস্থ্যকরই থাকে। এই দুই তেলের মধ্যে অরিজানোল রয়েছে, যা হল একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রেখে (এলডিএল হ্রাস এবং এইচডিএল বৃদ্ধি) হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এমনকি এই তেলগুলি ডায়াবেটিস ও স্থূলতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।

আরও পড়ুন: সুস্থ থাকতে শুধু খাদ্যে নয়, তেলেও আনুন পরিবর্তন!

Next Article
Ginger Tea: সুস্থ থাকতে কেন পান করবেন আদার চা?
Tight Inner Wears: স্টাইলের জন্য টাইট ইনার ওয়্যার পরলে বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত হতে পারে, কী করণীয় জেনে নিন…