Olive Oil: সুস্থ থাকতে শুধু খাদ্যে নয়, তেলেও আনুন পরিবর্তন!
অস্বাস্থ্য তেল বা বেশি পরিমাণ তেল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে যার ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। তাই আজকে আমরা এমন একটি স্বাস্থ্যকর তেল নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে দারুণ প্রভাব ফেলে।
সুস্থ থাকার সময় যেমন আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিই, তেমনি উচিত সেই রান্না যেন ভাল তেল দিয়ে তৈরি হয়। কারণ তেলের ওপরও আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজ নির্ভর কর। অস্বাস্থ্য তেল বা বেশি পরিমাণ তেল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে যার ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। তাই আজকে আমরা এমন একটি স্বাস্থ্যকর তেল নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে দারুণ প্রভাব ফেলে। এরকমই একটি তেল হল অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল।
অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল তৈরি করতে যে পরিমাণ শ্রম এবং জলপাইয়ের প্রয়োজন হয়, সেই রকমই শরীরের ক্ষেত্রে দারুণ প্রভাব ফেলে অলিভ অয়েল। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
অলিভ অয়েল মনোআনস্যাচুরেটেড ওলিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি এক প্রকার ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, যার মধ্যে কিছু শক্তিশালী জৈবিক প্রভাবও আছে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং কে। এই সব উপাদান গুলি যে কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে হ্রাস করতে সক্ষম।
এই তেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি বৈশিষ্ট্য ক্যান্সার, টাইপ ২ ডায়বেটিস, মেটাবলিক সিন্ড্রোম, হৃদ জনিত রোগ এবং অ্যালজাইমারের মত রোগের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে এই তেল যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে শরীর ও ত্বককে রক্ষা করে। তাছাড়া এই তেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ক্যান্সারের কোষকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
মাথায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বা রক্ত জমাট বাঁধলে স্ট্রোকের মত মারণ রোগ দেখা দেয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সব ব্যক্তিরা নিয়মিত অলিভ অয়েল খান তাদের মধ্যে এই স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কম। একই সঙ্গে এই তেল হার্টকে রাখে সুস্থ। এই তেল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে, বরং এইচডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সক্ষম অলিভ অয়েল।
সঠিক ওজন বজায় রাখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এই অলিভ অয়েল। এই তেল না অত্যধিক পরিমাণে ওজন বৃদ্ধি করে না বরং দ্রুত ওজন কমায়। অলিভ অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এই উপাদানের কারণে ত্বকের ক্ষেত্রেও সহায়ক অলিভ অয়েল।
আরও পড়ুন: মাত্র তিনটি উপাদানেই দূর হয়ে যাবে আপনার গ্যাসের সমস্যা!
আরও পড়ুন: হার্টের যে কোনও সমস্যাকে বাই-বাই বলতে এই ৫ সহজ ওয়ার্কআউট করুন!
আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদিক উপায়ে হার্টকে রাখুন সুস্থ, পরিবর্তন করুন জীবনধারা!