AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Scam: ২০ লাইনে ১৩টা বানান ভুল, ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়ে হয়েছিলেন SI, তদন্তে সামনে এল বিরাট সত্য!

Recruitment Scam: মণিকা যখন ঝুনঝুনু পুলিশ লাইনে যোগদানের জন্য আবেদন লিখেছিলেন, তাতে তিনি ২০টি লাইন লিখেছিলেন, যার মধ্যে ১৩টি হিন্দি শব্দে ভুল ছিল। পুলিশ অফিসারের তখনই সন্দেহ হয়, এই প্রার্থী কীভাবে এত নম্বর পেল।

Scam: ২০ লাইনে ১৩টা বানান ভুল, ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়ে হয়েছিলেন SI, তদন্তে সামনে এল বিরাট সত্য!
ধৃত এসআই।Image Credit: TV9 ভারতবর্ষ
| Updated on: Mar 19, 2025 | 7:26 PM
Share

জয়পুর: দুই লাইন নির্ভুল লিখতে পারেন না। তিনি নাকি সাব ইন্সপেক্টর! মেধাতালিকাতেও তাঁর নাম ছিল। জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরকে। অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষায় হিন্দি সাবজেক্টে ২০০-এ ১৮৪ নম্বর পেয়েছিলেন। এদিকে, ২০ লাইনের আবেদনপত্রে ১৩টি বানানই ভুল! এতেই সন্দেহ হয়। তারপর তদন্ত, আর তাতেই ফাঁস রহস্য।

২০২১ সালের এসআই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি মামলায় এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করেছেস্পেশাল অপারেশন গ্রুপ  বা এসওজি। ধৃতের নাম মণিকা জাট। সুলতানপুরের বাসিন্দা ওই এসআই নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৩৪তম স্থানে অর্জন করেছিলেন।

তদন্তে জানা যায় যে অভিযুক্ত মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর ব্লুটুথ ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষায় জালিয়াতি করেছিলেন। কানে ব্লুটুথ দেওয়া ছিল তাঁর। ওপ্রান্ত থেকে প্রতারক যা বলছিলেন, পরীক্ষার খাতায় তাই লিখেছিলেন মণিকা। ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতারণা করেছিলেন তিনি। যখন তাঁর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি মাত্র ১৫ নম্বর পেয়েছিলেন।

মণিকা যখন ঝুনঝুনু পুলিশ লাইনে যোগদানের জন্য আবেদন লিখেছিলেন, তাতে তিনি ২০টি লাইন লিখেছিলেন, যার মধ্যে ১৩টি হিন্দি শব্দে ভুল ছিল। পুলিশ অফিসারের তখনই সন্দেহ হয়, এই প্রার্থী কীভাবে এত নম্বর পেল। এরপর জেরা করতেই রহস্য ফাঁস।

জানা যায়, মণিকাকে নকল করতে সাহায্য করেছিলেন কালী নামক এক ব্যক্তি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিলেন। ব্লুটুথে বলে দিয়েছিলেন সমস্ত উত্তর। পরীক্ষায় হিন্দিতে মণিকা ২০০ -এ ১৮৪ নম্বর পেয়েছিল। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে তিনি ২০০ নম্বরের মধ্যে ১৬১ নম্বর পেয়েছিলেন। লিখিত পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাওয়ার কারণে মনিকা জাট মেধা তালিকায় ৩৪তম স্থান অর্জন করেছিলেন।

পুলিশ ইতিমধ্যেই প্রতারণা চক্রের মাথা পৌরভ কালীরকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে, গ্রেফতারের খবর পাওয়ার পর থেকেই মণিকা জাট পলাতক ছিলেন। মেডিক্যাল লিভে থাকলেও কোনও মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। শেষে এসওজি সদর দফতরে  তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত মণিকা জাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে।