মুম্বই: দেশে থাবা বসিয়েছে মারণ করোনাভাইরাস (COVID)। একাধিক রাজ্য সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পথে হেঁটেছে। কিন্তু তারপরেও ধরা পড়ছে উদাসীনতা। লকডাউনে বাইরে বেরলে কারোর মাস্ক থুতনিতে, আবার কেউ মাস্কটাই পরতে ভুলে গিয়েছেন। এইসব ক্ষেত্রে আরও কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ মহারাষ্ট্র পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে যেন লকডাউনের নিয়ম ভাঙলেই কড়া পদক্ষেপ করে তারা।
বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগে ও বিইউ দেবাদ্বারের বেঞ্চ জানিয়েছে, যাঁরা মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে নাক আলগা করছেন, তাঁরা সুপার স্প্রেডার। পাশাপাশি যেসব জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতার জোরে লকডাউনের নিয়ম ভাঙছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও পুলিশকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানিয়েছে, মন্ত্রী বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি কোনও চাপ সৃষ্টি করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে হবে।
বম্বে হাইকোর্ট পুলিশকে জানায়, বাইকে হেলমেট ও গাড়িতে একা থাকলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তা ছাড়া সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে রাত্রি ১১টার মধ্যে যাঁরা বাইরে বেরবেন তাঁদের আধার কার্ড নিয়ে বেরনোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একই নিয়ম অফ ডিউটিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও সরকারি আমলাদের ওপরও কার্যকরী বলে জানান বিচারপতি।
সৎকার ও রেমডেসিভির নিয়েও তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশিকা দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি মৃতদেহকে বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়ায় সৎকার করার পরামর্শ দিয়েছেন। কোনও ব্যক্তি অসাধু উপায়ে রেমডেসিভির বিক্রি করছেন, এমন হলে তাঁর বিরুদ্ধে পদেক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রেমডেসিভির নিয়ে যে হুড়োহুড়ি তা রুখতে সমমানের অন্যান্য ওষুধ (ভিরাফিন)-এর সচেতনতা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ ছাড়াও বম্বে হাইকোর্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির হাতে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, অ্যান্টিজেনে টেস্টে ‘ফলস নেগেটিভ’ রিপোর্ট এলেও যাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসবে, তিনি করোনা আক্রান্ত, তাই চিকিৎসায় সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: উপকারের প্রতিদান, ভারতকে সম্পূর্ণ সাহায্যের আশ্বাস বাইডেনের