নয়া দিল্লি: বড় ঘোষণা কেজরীবালের (Arvind Kejriwal)। জানালেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ (Delhi CM) থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। আজ, রবিবার দলীয় সভা থেকেই এই বড় ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরীবাল জানান, তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আম আদমি পার্টির অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন। প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় সদ্য জামিন পেয়েছেন তিনি।
আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় দুদিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জেল থেকে বেরনোর পর আজই প্রথম দলীয় কার্যালয়ে যান অরবিন্দ কেজরীবাল। সেখান থেকেই তিনি ঘোষণা করেন যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
কেজরীবাল বলেন, “আমি দেশের জনতার কাছে জানতে চাই কেজরীবাল কি সৎ? দুইদিন বাদে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেব। যতক্ষণ জনগণ তার মতামত না দিচ্ছেন, ততক্ষণ আমি মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসব না। কয়েক মাস বাদেই দিল্লিতে নির্বাচন রয়েছে। জনতার কাছে আমার আবেদন, যদি আপনারা মনে করেন কেজরীবাল সৎ, তাহলে আমায় ভোট দেবেন। যদি মনে করেন আমি অপরাধী, তাহলে ভোট দেবেন না। আপনাদের এক একটা ভোট আমার সততার সার্টিফিকেট। আমি আইনের দরবারে ন্যায়বিচার পেয়েছি, এবার জনতার আদালতেও বিচার পাব। জনগণের নির্দেশ পেলেই আমি মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসব।”
#WATCH | Delhi: CM Arvind Kejriwal says, “… I am going to resign from the CM position after two days. I will not sit on the CM chair until the people give their verdict… I will go to every house and street and not sit on the CM chair till I get a verdict from the people…” pic.twitter.com/6f7eI7NVcN
— ANI (@ANI) September 15, 2024
অরবিন্দ কেজরীবাল জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর আম আদমি পার্টি দলের কোনও সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করবে। তবে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, যাকে কেজরীবালের আগেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন না বলেই জানান কেজরীবাল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রতিটি মানুষের দরজায় যাব, তাদের সমর্থন চাইব। জনগণ যদি চায়, তবে তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরব।”
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। কেজরীবাল দাবি করেন যে আগামী নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই যেন ভোট করানো হোক।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসেই আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেজরীবাল। এরপর সিবিআই-ও তাঁকে গ্রেফতার করে। দুইদিন আগেই সিবিআই এই দুর্নীতি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পান কেজরীবাল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, জামিনে মুক্তি পেলেও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যেতে পারবেন না কেজরীবাল। সই করতে পারবেন না সরকারি নথিতে। এমনকী, আবগারি নীতি নিয়ে কোনও মন্তব্যও করতে পারবেন না।
জেলে থাকাকালীন বিরোধীরা একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেজরীবালের ইস্তফার দাবি করলেও, তা পাত্তা দেননি। কিন্তু জামিন পেতেই এবার ইস্তফার ঘোষণা কেজরীবালের।