পটনা: পথে চলার মাঝে মোবাইল বা মানিব্যাগ চুরি কিংবা বাড়ি ফাঁকা থাকলে টাকা-পয়সা, সোনার গহনা চুরির ঘটনা ঘটে আকছারই। কিন্তু আস্ত একটা পুকুর চুরি হয়ে যেতে শুনেছেন কখনও? গল্প নয়, এটাই বাস্তব। রাতারাতি চুরি হয়ে গেল পুকুর। উধাও হয়ে গেল গোটা পুকুরটাই, তার জায়গায় তৈরি হয়ে গেল কুঁড়ে ঘর। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের দ্বারভাঙা জেলায়। এর আগে বিহারেই চুরি হয়ে গিয়েছিল সেতু ও ট্রেনের ইঞ্জিন। এবার চুরি হল পুকুর। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই পুকুরটি এলাকার বাসিন্দাদেরই তৈরি। মূলত মাছ ধরা হত পুকুরে। কিন্তু দ্বারভাঙায় জমির দাম বাড়তে শুরু করার পর থেকেই, দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে নজর ছিল জমি মাফিয়াদের। চলতি সপ্তাহে হঠাৎ একদিন সকালে উঠে তারা দেখতে পান, পুকুরটি আর নেই। সমান মাটির জমি সেখানে, তার উপরে রয়েছে একটি কুঁড়ে ঘরও! রাতারাতি কোথায় গায়েব হয়ে গেল পুকুর? সেখানে কুঁড়েঘরই বা এল কী করে? তা বুঝতে না পেরে গ্রামবাসীরা পুলিশে অভিযোগ জানান। যতক্ষণে পুলিশ এসে পৌঁছয়, ততক্ষণে পগারপার হয়ে গিয়েছে জমি মাফিয়ারা।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগেও জমি মাফিয়ারা পুকুর ভরাটের চেষ্টা করেছিল। সেই সময় জোনাল অফিসে অভিযোগ জানালে সেই কাজ বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও দমেনি জমি মাফিয়ারা। রাতের অন্ধকারে তারা চুপিচুপি পুকুর ভরাট করছিল। এরপর একদিন রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় পুকুর।
দ্বারভাঙার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার অমিত কুমার বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তাদের দাবি, ১০-১৫ দিনের মধ্যে পুকুর ভরাটের কাজ করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারেই এই কাজ হত। এর আগে আমাদের কাছে যখন অভিযোগ এসেছিল, তখন আধিকারিকরা পুকুর ভরাট আটকেছিল এবং বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিল।”
প্রসঙ্গত, অদ্ভুতে চুরির কাণ্ড এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বিহারের বেগুসরাইয়ের রেল ইয়ার্ড থেকে আস্ত একটি ডিজেল ইঞ্জিন চুরি হয়ে যায়। তার আগে ৬০ ফুটের একটি ফুট ব্রিজও চুরি হয়ে যায় রোহতাস থেকে।