
নয়া দিল্লি: ‘বন্দেমাতরম’ রচনার ১৫০ বছর পূর্তিতে সেই গান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সংসদে। সোমবার লোকসভায় এই বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর আজ, মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সেই ইস্যুতেই বক্তব্য পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার প্রশ্ন উঠেছিল, পশ্চিমবঙ্গের ভোট আসন্ন বলেই কি সংসদে উত্থাপিত হল বন্দে মাতরম ইস্যু? মঙ্গলবার শুরুতেই সেই বিষয়টা স্পষ্ট করে দিলেন শাহ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা। “আমাদের দেশ ৭৫ বছর স্বাধীন হয়েছে। তাহলে আজ এই নিয়ে বিতর্কের কী দরকার?” তাঁর প্রশ্ন ছিল, বন্দে মাতরমকে বাংলায় ভোটের ইস্যু করা হচ্ছে না তো?
মঙ্গলবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, “গতকাল (সোমবার) কয়েকজন লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছে, আজ বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন পড়ল কেন? বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন স্বাধীনতার সময়ও ছিল, আজও আছে, আগামিদিনেও থাকবে। কেউ কেউ বাংলার ভোটের সঙ্গে বন্দেমাতরমের যোগ তৈরি করে গুরুত্ব কমানোর চেষ্টা করছেন।”
এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ উল্লেখ করেন, ঠিক কোন প্রেক্ষাপটে বন্দে মাতরম রচনা করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ করেন, ১৮৭৫-এর ৭ নভেম্বর, কার্তিক শুক্ল নবমীর দিন, জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন বন্দে মাতরম রচনা হয়। প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অমিত শাহ বলেন, “ইসলামিক আক্রমণে যখন দেশের সংস্কৃতি নষ্ট হয়েছে, তারপরই ব্রিটিশরা যখন আর একটা নতুন সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টা করছিল। ঠিক সেই সময় বন্দেমাতরম রচনা হয়। দেশকে মায়ের রূপে কল্পনা করে রচিত হয় বন্দেমাতরম।”
এদিনও একই সওয়াল করে কংগ্রেস। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আসল ইস্যু থেকে নজর সরানোর জন্য, বাংলার ভোটকে সামনে রেখে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হচ্ছ। এটাই আমার বিশ্বাস।”