অমরাবতী: তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ, খুন ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির তিন কিশোরের। অপরাধ লুকাতে নাবালিকার দেহ ফেলে দিয়েছিল খালে। এক সপ্তাহ পার হতে চলল, এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি নাবালিকার দেহের। এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর সব তথ্য সামনে আনল পুলিশ। জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোনে নীল ছবি দেখেছিল অভিযুক্তরা। সেই ভিডিয়োতে তারা যা যা দৃশ্য দেখেছিল, তাই-ই নাবালিকার উপরে করে অভিযুক্তরা।
গত ৭ জুলাই নিখোঁজ হয়ে যায় অন্ধ্র প্রদেশের নন্দেয়ালের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালালে, ওই তিন কিশোরের কাছে নিয়ে যায়। এরপরই তাদের জেরা করে জানা যায়, তিন কিশোর মিলে ধর্ষণ করেছে ওই নাবালিকাকে। হেফাজতে নেওয়া হয় ওই তিন কিশোরকে।
পরবর্তীতে জেরা করে জানা গিয়েছে, ওই তিন কিশোর, যাদের বয়স ১২-১৩, তাঁরা মোবাইলে নীল ছবি দেখেছিল। সেই ভিডিয়োয় যা যা যৌনকর্ম দেখানো হয়েছিল, তাই-ই নাবালিকার উপরে করে তাঁরা। একই স্কুলে পড়ত নির্যাতিতা ও অভিযুক্তরা। ওই নাবালিকা যখন মাঠে খেলছিল, সেই সময় অভিযুক্তরা গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে এবং খেলার নাম করে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর অভিযুক্তরা গলা টিপে খুন করে নাবালিকাকে। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বাড়িতে ফোন করে জানায়। এরপর দুই অভিযুক্তের বাবা ও কাকা আসে। তাঁরা বাইকে করে নাবালিকার দেহ নিয়ে যায় এবং পাথর বেঁধে কৃষ্ণা নদীতে ফেলে দেয়। জেরার পর গত ১০ জুলাই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়নি। ড্রোন, আন্ডার ওয়াটার ক্যামেরা দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এনডিআরএফ-কেও ডাকা হয়েছে উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু নিহত নাবালিকার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।