নয়া দিল্লি: এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে একাধিক নতুন ঘটনা ঘটল দিল্লির রাজপথে। এই প্রথম কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে আকাশে উড়ল রাফাল। তার সঙ্গে রাজপথে প্রথমবার প্যারেড করল বাংলাদেশের সেনাবাহিনী (Bangladesh force)। এছাড়াও রাজপথে দেখা গিয়েছে ‘সবুজ সাথীর’ ট্যাবলো। সব মিলিয়ে করোনা আবহে বিধি মেনেই পালিত হয়েছে ভারতের ৭২-তম প্রজাতন্ত্র দিবসে।
এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেছিলেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ১২২ জন সেনা। ছিলেন নৌসেনা, বায়ুসেনা-সহ ৩ ক্ষেত্রের সৈনিকরাই। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্যারেডের নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহম্মদ শাহনুর শাওন, লেফটেন্যান্ট ফরহান ইসরক ও লেফটেন্যান্ট সিবত রহমান।
প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভ কামনা এল হাসিনার কাছ থেকেও। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিঠিতে জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে। সঙ্গে উন্মুক্ত হয়েছে আরও একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির জায়গা। করোনা কালেও দুই দেশের সহযোগিতার কথা ফুটে উঠেছে তাঁর শুভ কামনায়। চিঠিতে হাসিনা লিখেছেন, “দুই দেশ একে অপরের সম্পর্কের মাত্রাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে।” এছাড়াও সম্মিলিত ভাবে মুজিব শতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনের কথাও বলেছেন হাসিনা।
আরও পড়ুন: দিল্লির রাজপথে অশান্তির জন্য কেন্দ্রের ‘উদাসীনতাকেই’ দুষলেন মমতা
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই ভাল। একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা গিয়েছে প্রতিবেশী নীতির ভিত্তি হিসাবে বাংলাদেশের কথা। সম্প্রতি ভ্যাকসিন মৈত্রীর অংশ হিসাবে বাংলাদেশকে সেরামের করোনা প্রতিষেধকের ২০ লক্ষ ডোজ় উপহার পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে টিকা তুলে দিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।